মিজানুর রহমান রুবেল
কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন
সারি সারি ভাবে রাখা হয়েছে গরু।চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার পশুর হাটগুলোতে ভিড় বাড়লেও এখনো বাড়েনি বেচাবিক্রি।
বুধবার (১২ জুন) বিকালে কেরানীহাট পশুর হাট ঘুরে দেখা যায় ,পটিয়া চন্দনাইশ সাতকানিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রচুর গরু এনেছেন বিক্রেতারা। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার জনসমাগম ছিল তবে সে অনুপাতে গরু বিক্রি কম। বিক্রেতারা গরুর দাম বেশি হাঁকাছেন বলে জানান ক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, গরুর তুলনায় বেশি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।
অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি,অন্যান্য বছরের তুলনায় খরচ বেশি হওয়ায় গরুর দাম একটু বেশিই হবে,
প্রতিদিনই একটি গরুর পেছনে অনেক টাকার খাদ্যসহ বিভিন্ন খরচ রয়েছে সেই হিসেবে গরুর দাম বেশি নয়, তবে লোকসানে গরু বিক্রি সম্ভব নয়।
কেরানীহাট বাজারে গরু বিক্রি আসা মো:আলী বলেন,বাজারে গরু অনেক এসেছে, ক্রেতাও রয়েছে, তবে গরু বিক্রি হচ্ছে কম, যার কারণে সন্ধ্যার আগে আগেই গরু বিক্রি করতে আসা অনেকেই গরু নিয়ে চলে গেছেন কোরবানির কয়েকদিন বাকি থাকায় ক্রেতারা গরু দেখছে দরদাম করছে কিন্তু হাতে সময় থাকায় এখনো কিনছে না।
ইজারাদার নাজিম উদ্দীন বলেন,কেরানী হাট বাজারে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে হাছিলের টাকা কমিয়ে দিয়েছি যাতে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে পশু বেচাকেনা করতে পারেন,১ লক্ষ টাকার ভিতরে ১৫০০ টাকা, ১ লক্ষ থেকে বেশি দামের জন্য ২৫০০ টাকা এবং ছাগলের জন্য ৪০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছি। আজকের বাজারে গরুর চেয়ে মহিষ বিক্রি বেশি হয়েছে বলে জানান তিনি। বাজারে সর্বোচ্চ দামের গরু বিক্রি হয়েছে তিন লক্ষ আশি হাজার টাকায়। ঈদুল আযহার কয়েকদিন বাকি আছে বুধবার বাজার ছাড়াও আরো কয়েকদিন সময় পাচ্ছি আমরা,তবে আশানুরূপ বেচাকেনা হয়নি, আগামী সোমবার পর্যন্ত গরু, মহিষ, ছাগল পাওয়া যাবে আমাদের বাজারে, আগামী রবিবার কেরানিহাট বাজারেপ্রচুর জনসমাগম হবে এবং বেচাকেনা জমে উঠবে বলে আশাবাদী।
চেয়ারম্যানঃ-আব্দুর রহিম খান,
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো : মাসুদ রানা
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ঢাকার বার্তা ২৪