বিশেষ ক্রাইম রিপোর্ট : মিলন মোল্লা বনানী বাসীর কাছে এক আতঙ্কের নাম। প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল এর নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বনানীতে চলে তার ত্রাশের রাজত্ব। কেউ মুখ খুললেই যেন জীবন নিয়ে শঙ্কাহীন হয়ে পড়ে। বনানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি কেউ তাকে চাঁদা না দিয়ে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করতে পারেনা। শুধু কি তাই? চাকুরী বাণিজ্য টেন্ডার বাণিজ্য ' উড়তি বয়সী তরুণীদের মডেল বানিয়ে দেওয়ার বাণিজ্য ' বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি (আদম ব্যাবসা) থেকে মাসোহারা নেওয়া ' অবৈধ মদের বার, ডিজে পার্টি ও স্পা নামক দেহ ব্যবসার আস্তানা থেকে সাপ্তাহ নেওয়া , অপরাধ দুনিয়ার এমন কোন কাজ নেই যেটা তার মাঝে বিদ্যমান নেই। অভিযোগ আছে অসংখ্য ব্যক্তিদের কাছে ব্যবসার কথা বলে টাকা ধার নিয়ে, বন্দুকের মাথায় জিম্মি করে সেই টাকা ফেরত না দেওয়া ও টাকা, চাঁদা, নারী, সে যেটাই চাইবে সে চাহিদা পূরণ না হলে উক্ত ব্যক্তিকে পুলিশের সাহায্যে অবৈধ মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া দেওয়ার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে। মিলন মোল্লা শুধু বনানীর গণ্ডির মধ্যেই থেমে নেই তার রাজত্ব পৌঁছে গেছে গুলশানেও, বাসা নং - ২৫ গুলশান এভিনিউ মেইন রোড এর লিফটের ২য় তলার একটি ফ্ল্যাটে বাড়ির মালিকের সহযোগিতায় বসিয়েছে অবৈধ ক্যাসিনো, মাদক ও স্পা নামক দেহ ব্যবসা যার কোন ট্রেড লাইসেন্স টিন সার্টিফিকেট বা সরকারি কোন অনুমোদন নেই। প্রশ্ন থাকে যখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে যখন দেশ ছেড়েছেন তখন সামান্য বনানী থানা জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি মিলন মোল্লা কিভাবে এতটা অবাধে গুলশান ১ এর ডিপ্লোমেটিক একটি এরিয়ায় ক্যাসিনো মাদক ও দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক সহযোগী জানিয়েছে ২৫ গুলশান এভিনিউ গুলশান ১ এর এই বাসাটিতে মিলন মোল্লার একান্ত সহযোগী হিসেবে তার সাথে রয়েছে বাগেরহাট জেলার কুখ্যাত ইয়াবা সম্রাট মোহাম্মদ সাত্তার মোল্লা। কিছুদিন আগে যাত্রাবাড়ী থানার একটি মাদক মামলায় জাবিন পেয়েছে সে এবং বাগেরহাট জেলায় একাধিক মাদক মামলা এখনো চলমান।
তাকে সাথে নিয়ে চলছে মিলন মোল্লার অবৈধ ক্যাসিনো মাদক ও দেহ ব্যবসার এই আস্তানা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যখন পুরো বাংলাদেশ থমথমে বিরাজ করছে, তখন গুলশান ১ এর ডিপ্লোম্যাটিক এরিয়ায় বনানী থানা জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি পরিচয়ে ক্যাডার মিলন মোল্লার এই অবৈধ ক্যাসিনো মাদক ও দেহ ব্যবসা অবাধে চলছে।
মিলন মোল্লার নামে এর আগেও একাধিক দৈনিক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হয় তবুও নেয়া হয়নি কোন আইনি ব্যবস্থা, তবে কি সুশীল সমাজ এটাই ধরে নিবে মিলন মোল্লার পিছনে রয়েছে আইনের কোন ঊর্ধ্বতন শক্তির এক অজানা রহস্য। ইতিমধ্যেই সে ভোল পালটিয়ে বিএনপির কিছু নেতা কর্মীর সাথে মিল দিয়ে চলার চেষ্টা করতেছে, যা ইতিমধ্যে সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
এখন সাধারণ মানুষের একটাই চাওয়া অবিলম্বে ২৫ গুলশান এভিনিউ গুলশান ১ এর লিফটের দ্বিতীয় তলার এই ফ্লাটে বনানী থানা শ্রমিকলীগ সভাপতি খ্যাত 'কুখ্যাত ক্যাডার মিলন মোল্লার এই অবৈধ ক্যাসিনো মাদক ও দেহ ব্যবসা বন্ধ করার চেষ্টা ক্ষীণ হয়ে আসছে।
এবিষয়ে গুলশান জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বলেন তার বিষয়ে অনেকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছেন বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি ।
এবিষয়ে মিলন মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
চেয়ারম্যানঃ-আব্দুর রহিম খান,
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো : মাসুদ রানা
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ঢাকার বার্তা ২৪