ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

শরীয়তপুরে গোসাইরহাট উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন তীব্রতর হচ্ছে

  • আপডেট সময় : ১১:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪
  • ৩০৯৮ বার পড়া হয়েছে

নুরজামাল ফকির শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

বছরের পর বছর মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গোসাইরহাটের আলাওলপুর, কোদালপুর ও কুচাইপট্টি ইউনিয়নের শত শত ঘরবাড়ি। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের কয়েক’শ পরিবার।

একসময় শুধু বর্ষায় ভাঙন চললেও বর্তমানে বছরজুড়েই চলছে তাণ্ডব। এতে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর, হাটবাজার, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিলেও স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি এক যুগেও।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন যাবত নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছে অনেকে। অনেক পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছেন। অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসতি গড়েছেন।

এক ভুক্তভোগী কেঁদে কেঁদে বলেছে, ” মরলে যে আমাকে মাটি দিবে সেই জায়গাটা পর্যন্ত নাই ”
অপর আরেকজন দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেছে,
“কূলকিনারা হারা হয়ে এখন ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র জীবন বাঁচানোর জন্য চলে যেতে হচ্ছে।”
আরেকজন মহিলা ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, নদী ভাঙনে তাদের ফসলের জমি, ভিটেমাটি ভেঙে যাওয়ায় তাদের এখানে থাকা আর সম্ভব নয় তাই তারা অন্যত্রে চলে যাচ্ছে।

অসচ্ছলতার কারণে যারা শহরে বা অন্যত্র যেতে পারেনি তারা একবার নদীর এ পাড়ে এবং আরেকবার নদীর অন্য পাড়ে বসতি গড়ছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার কেউ তাদের খোঁজ নিতেও যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশিরভাগই গরিব দিনমজুর তারা যে অন্যত্র গিয়ে নতুন বসতি স্থাপন করবে সেই সামর্থ তাদের নেই। তারা কতৃপক্ষের কাছে স্থায়ী সমাধান চায়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

শরীয়তপুরে গোসাইরহাট উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন তীব্রতর হচ্ছে

আপডেট সময় : ১১:২৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

নুরজামাল ফকির শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

বছরের পর বছর মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে গোসাইরহাটের আলাওলপুর, কোদালপুর ও কুচাইপট্টি ইউনিয়নের শত শত ঘরবাড়ি। এতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের কয়েক’শ পরিবার।

একসময় শুধু বর্ষায় ভাঙন চললেও বর্তমানে বছরজুড়েই চলছে তাণ্ডব। এতে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর, হাটবাজার, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিলেও স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি এক যুগেও।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছুদিন যাবত নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছে অনেকে। অনেক পরিবার ভাঙনের কবলে পড়েছেন। অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসতি গড়েছেন।

এক ভুক্তভোগী কেঁদে কেঁদে বলেছে, ” মরলে যে আমাকে মাটি দিবে সেই জায়গাটা পর্যন্ত নাই ”
অপর আরেকজন দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেছে,
“কূলকিনারা হারা হয়ে এখন ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র জীবন বাঁচানোর জন্য চলে যেতে হচ্ছে।”
আরেকজন মহিলা ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, নদী ভাঙনে তাদের ফসলের জমি, ভিটেমাটি ভেঙে যাওয়ায় তাদের এখানে থাকা আর সম্ভব নয় তাই তারা অন্যত্রে চলে যাচ্ছে।

অসচ্ছলতার কারণে যারা শহরে বা অন্যত্র যেতে পারেনি তারা একবার নদীর এ পাড়ে এবং আরেকবার নদীর অন্য পাড়ে বসতি গড়ছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার কেউ তাদের খোঁজ নিতেও যাচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশিরভাগই গরিব দিনমজুর তারা যে অন্যত্র গিয়ে নতুন বসতি স্থাপন করবে সেই সামর্থ তাদের নেই। তারা কতৃপক্ষের কাছে স্থায়ী সমাধান চায়।