৭ অক্টোবর স্থানীয় ব্যবসায়ী দেবাশীষ কুন্ডুর গোডাউনে ডাকাতির ঘটনাতে কাওছার হাওলাদার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোডাউন থেকে প্রায় ৭০ বস্তা খেসারী ডাল, ৫ বস্তা মুগডাল, ৪ বস্তা তিল ও ১০৫ মন চালসহ আনুমানিক ২,৯৯,২৫০ টাকার মালামাল লুট হয়।
দেবাশীষ কুন্ডু ঘটনাটি নিয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে, ওসি মো. আবুল কালাম বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেন এসআই মো. রফিক ইসলামকে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পুলিশ নিজাম প্যাদা, রাসেল ও পিন্টু হাওলাদারকে নামে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করেন।বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন জিজ্ঞাসাবাদে কাওছার হাওলাদার সহ আরও কয়েকজনের নাম।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা শওকত হোসেন হাওলাদারের সন্ত্রাসী পুত্র কামাল হাওলাদার ও তার বাহিনীর আতঙ্কে আতঙ্কিত কলসকাঠি সাধারণ জনগণ সবাই যখন নিশ্চুপ সর্ব প্রথমে সন্ত্রাসী বাহিনীটির বিরুদ্ধে একশন শুরু করেন উপজেলা প্রশাসন।
সূত্র মতে কামাল হাওলাদার ৫ই আগস্ট এর পরপরই একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়ন জুড়ে ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করে। কামাল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড কাওছার হাওলাদার । এই বাহিনী চাঁদাবাজি দখলবাজি ভূমিদস্যুতা সহ বিভিন্ন অপকর্মের মাধ্যমে গত এক বছরে কমপক্ষে পাঁচ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে।
সন্ত্রাসী বাহিনীর গডফাদার কামাল কাওছার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছিল না। উপজেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় থানা পুলিশ আইনি অ্যাকশন শুরু করার পর মুখ খুলতে শুরু করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
উল্লেখ্য ১৬ই মার্চ উপজেলার কলসকাঠি ধাপরকাঠি এলাকার পান্ডব নদীর চরের মাটি কেটে বিক্রি করার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান কামাল হাওলাদার এবং ওই বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড কাওছার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সাঙ্গপাঙ্গরা। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মাটি চুরি করার সরঞ্জাম, একটি পন্টুন ও ১টি বেকু আটক করে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৭ ই মার্চ উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং জিআর ১০৪/২৫।
ভুক্তভোগী সূত্র মতে টিউবয়েলের ঠিকাদার হাবিবুর রহমান ওরফে গুডু হাবিব কে জিম্বি করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে কামাল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তার ৩৫ লক্ষ টাকা মূল্যের মেশিন ও সরঞ্জামাদি লুট করে নিয়ে যায়। বিএম একাডেমির প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক দিপদ চন্দ্র পালকে খুন যখন এবং বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির শিকার বানানো হয়।
এছাড়া মোটা অংকের টাকার বিনিময় রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তিকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান সন্ত্রাসী কামাল, কাওছার বাহিনী কলসকাঠির ২৩ টি ইটভাটা থেকে মাসিক মাসোয়ারা আদায় করে প্রতিটি ইটভাটা থেকে প্রতিমাসে বিশ হাজার টাকা আদায় করা হয় বলে সূত্রের দাবি।
সূত্র আরো জানায় সরকারি খাস জমি দখল করে পাঁচটি পাকা ঘর নির্মাণ করে কলসকাঠী বাজারের চাউল পট্টি এলাকায় এবং প্রতিটি ঘর থেকে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনায় তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কাওছার হাওলাদারসহ আরও কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছে।
