জসীম উদ্দিনঃ গত ৯ মার্চ ২০২৪ ইং রাত আনুমানিক ৬ ঘটিকার সময় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন বাঁশবাড়ী সাকিনস্থ বাঁশবাড়ী বাজারের পূর্বপাশে জনৈক সুরুজ মিয়ার সেমিপাকা টিনসেড ভবনের পিছনে ফাঁকা জায়গায় আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪৫) এছানুল হক(২৪) পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম রফিক (৫৫) ইমরুল(৪০)ছানোয়ারা হোসেন(২৪)নূরুল ইসলাম নূরু(৪০)শফিকুল ইসলাম বিএ(৪৫)মোস্তফা(৫২)সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন আসামীরা জমি-জমা সংক্রান্ত সমস্যা, পাওনা টাকা না দেওয়া ।
সর্বশেষ চায়ের দোকানের হাতাহাতির বিষয়টি শহিদুল এর ভিতরে প্রচন্ড ক্রোধ এবং প্রতিশোধ পরায়ণতার সৃষ্টির জের ধরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভিকটিম আব্দুল্লাহ(২৬)গাজীপুর’কে মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪৫) এর হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে ভিকটিমের বাম পাজরে স্বজোরে পার মারিয়া গুরুতর জখম করে এবং সহযোগী আসামী এছানুল হক(২৪) ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চত করার জন্য বাম পাজরে পার মিারিয়া গুরুতর জখম করে।
ভিকটিম গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হইয়া রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটাইয়া পড়ে থাকা অবস্থায় অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া আনন্দ উল্লাস করে। ভিকটিমের আত্মচিৎকার আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে আসামীগণ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ভিকটিমের পিতা সাহাদত আলী (৫৫) সহ অন্যান্য স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করিয়া সিএনজিযোগে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিমকে মৃত ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হইয়া ভিকটিমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুর মর্গে প্রেরণ করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা-সাহাদত আলী(৫৫), থানা-শ্রীপুর, জেলা-গাজীপুর বাদী হয়ে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকায় র্যাব-১, এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বর্ণিত মামলার ১ নং প্রধান আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪৫) এবং নং সহযোগী আসামী এছানুল হক(২৪) এলাকায় আত্মগোপনে আছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর আভিযানিক দল রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আব্দুল্লাহপুর আটিপাড়া সাকিনস্থ সুজনের বাড়ী হতে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার পলাতক ১ নং আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪৫) এবং ২ নং আসামী এছানুল হক(২৪)দ্বয়’কে গ্রেফতার করে। এসময় গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে ১টি মোবাইল, ১টি এনআইডি কার্ড, ১টি মানিব্যাগ ও নগদ ৪,৭৪০/-টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ সময়ে উক্ত বিরোধের জের ধরে ঘটনার দিন ধৃত আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪৫) ভিকটিম আব্দুল্লাহ(২৬) এর সহিত গায়ে পড়ে ঝগড়ার সৃষ্টি করলে দুই জনের মধ্যে মারামারি ও হাতাহাতি হয়। উপস্থিত স্থানীয় লোকজন এটা মিটমাট করে দেয়। ভিকটিম আব্দুল্লাহ(২৬) কনসার্টের ভিতরে চলে যায়। ৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ৬ ঘটিকার সময় প্রধান আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪৫) এর নির্দেশে আসামী রফিক(৫৫) এবং আসামী নূরুল ইসলাম নূরু(৪০) ভিকটিম আব্দুল্লাহ(২৬)’কে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকিয়া গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানাধীন বাঁশবাড়ী সাকিনস্থ বাঁশবাড়ী বাজারের পূর্বপাশে জনৈক সুরুজ মিয়ার সেমিপাকা টিনসেড ভবনের পিছনে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে পৌছামাত্র পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা শহিদুল ইসলাম শহিদ(৪৫) এর হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে ভিকটিমের বাম পাজরে স্বজোরে পার মারিয়া গুরুতর জখম করে এবং সহযোগী আসামী এছানুল হক(২৪) ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চত করার জন্য বাম পাজরে পার মিারিয়া গুরুতর জখম করে।
ভিকটিম গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হইয়া রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটাইয়া পড়ে থাকা অবস্থায় অন্যান্য আসামীরা ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া আনন্দ উল্লাস করে। ভিকটিমের আত্নচিৎকার আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসলে আসামীগণ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে আত্নগোপনে চলে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।