সাম্প্রতিক সময়ে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানায় সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা এর দুরদর্শী নেতৃত্বে
উক্ত থানাধীন এলাকায়,অপরাধ,অনিয়ম,ছুরি,ছিনতাইসহ সকল অনিয়ম প্রতিরোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
প্রায় প্রতিদিনই মোহাম্মদপুরে ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা।এতে অনেকেই হারাচ্ছেন মুল্যবান মালামাল। ছিনতাইকারীদের হামলায়আহত হয়েও নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে মুখ খুলছে না অনেকেই। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় মোহাম্মদপুরের ফিউচার হাউজিংও ওয়াকওয়েতে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃমাহফুজুল হক ভুঞা দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় রবিবার (১ অক্টোবর) ৯ যুবককে গ্রেফতার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো লেগুনা চালক মোঃ আকাশ, ফুটপাতে গেঞ্জি বিক্রেতা মোঃ নয়ন, ডানো কোম্পানীর ভ্যান গাড়ির ড্রাইভারমোঃ সজল ইসলাম, প্রত্যয় বাসের হেলপার মোঃ আবু কালাম, অটোরিক্সা চালক মোঃ আরিফ, আজিম গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর কর্মীমোঃ সজীব, বাসের রং মিস্ত্রী মোঃ কবির, রাজমিস্ত্রী মোঃ নাসির ও লেগুনা চালক মোঃ সুজন।
মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা জানান, মোঃ সুফিয়ান ইবনে সেলিমসহ কয়েকজন থানায় এসেঅভিযোগ করেন, শুক্রবার সন্ধ্যা অনুমান ৭ টায় বাসা থেকে তিন রাস্তার মোড়ে আসার পথে ফিউচার হাউজিং মসজিদেরসামনে রাস্তার উপর পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন যুবক হাতে লাঠি, ধারালো বড় ছোরা ও চাপাতি নিয়ে তাকে ঘিরে ধরে।তারা তাকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। তারা তুরাগ নদীর তীরবর্তীওয়াকওয়ের দিকে হেটে যায়। তিনি তাদের পিছু নেন। ওয়াকওয়েতে স্মার্ট বেম্বো রেস্টুরেন্টের সামনে সঙ্গীয় ফাহিম ইমরানকেমারধর করে তার নিকট থেকে একটি আইফোন ছিনিয়ে নেয়।
কিছু দূর এগিয়ে ওয়াকওয়েতে হান্ড্রেড মাইল রেস্টুরেন্টের সামনে নুসরাত আফ্রিন ও তার বন্ধু রুহুল আমিনকে মারধর করে একটিমোবাইল ফোন ও ১২০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারা একই পথ ধরে বসিলা ৪০ ফিট যাওয়ার পথে আরো কয়েকজনকে ভয়ভীতিদেখিয়ে তাদের কাছে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরূপ অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজুহয়।
তিনি আরো জানান, ওয়াকওয়েতে একাধিক ছিনতাই সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া মাত্রই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ঘটনাররহস্য উদ্ঘাটন, আসামীদের গ্রেফতার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটিছিনতাইয়ের ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারিত হয়। বসিলা ৪০ ফিটরাস্তা, ফিউচার হাউজিং, রাজধানী হাউজিং, বসিলা গার্ডেন সিটি, গ্রীন সিটি ও ঢাকা উদ্যান এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপিতসিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় ও সোর্সের মাধ্যমে প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত নয় জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি মোঃ মাহফুজুল হক ভুঞা জানান, গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাদের প্রতিপক্ষ একজনকেমারার জন্য তারা ঢাকা উদ্যানের দিকে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে তাদের কয়েকজন ওয়াকওয়েতে থাকা পথচারীদের মারধর ওভয়–ভীতি প্রদর্শন করে তাদের নিকট থাকা মোবাইল, নগদ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং ফেরার পথে কয়েকটিদোকানে ভাংচুর চালায়।
গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে ঘটনায় লুণ্ঠিত ১টি মোবাইল ফোন ও অপরাধে ব্যবহৃত ৩টি চাপাতি ও ২টি ছোরা উদ্ধার করাহয়।গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষন করে ঘটনায় জড়িত অন্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিতমালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।