বিশ্ববাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে ও বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদনে, মাসিক নবযাত্রা’র আয়োজনে এবং “নবযাত্রা সাহিত্য ফোরাম” এর সহযোগিতায়, কথা ও সুরে শ্রদ্ধাঞ্জলী “হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, চেতনায় নজরুল” শীর্ষক এক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গত ৩১ আগষ্ট’২০২৩, বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় চট্টগ্রামের চেরাগি পাহাড়স্থ, বৈঠকখানা কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর হল প্রভোস্ট এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রফেসর ড. উদিতি দাশ। ঘোষনা মঞ্চে একই সাথে উপস্থিত থেকে সমস্বরে উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের প্রথিতযশা বিভিন্ন পর্যায়ের শিল্পী, কবি, সাহিত্যিকগণ।
মাসিক নবযাত্রা’র সম্পাদক ও নবযাত্রা সাহিত্য ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, গিটারশিল্পী, মানবাধিকার ও সাহিত্যকর্মী, কবি দুর্জয় পাল এর সভাপতিত্বে, এক ঝাঁক বিভিন্ন কবি, শিল্পীদের পরিবেশনায় মুখরিত অডিটোরিয়ামে কবিতা আবৃত্তি, গান, বইমেলা, কথামালা, গীতিআলেখ্য, হাওয়াইয়ান গীটার বাদনসহ (যন্ত্রসংগীত) মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে চলতে থাকে সম্মানিত অতিথিবৃন্দ ও গুণীজনদের আলোচনা ও বক্তব্য উপস্থাপন।
মনোমুগ্ধকর উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান দেব দুলাল ভৌমিক, মূখ্য আলোচক ছিলেন লেখক, প্রাবন্ধিক ও কবি রোটারিয়ান খন রঞ্জন রায়।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন “স্পিড বাংলাদেশে”র প্রধান নির্বাহী জনাব মনোজ কুমার দেব, অর্থোপেডিক্স ও ট্রমা সার্জন, কনসালটেন্ট ডা: মঞ্জুরুল করিম বিপ্লব, এনজিও কর্মী ও বাচিক শিল্পী মোঃ ফোরকান, লেখক ও প্রকাশক জনাব কাজী সাইফুল হক, সাহিত্যকর্মী দিদারুল আলম সোহেল, সঙ্গীতজ্ঞ মোঃ হোসেন ইব্রাহিম, অচিন্ত্য কুমার বিশ্বাস, গীটার ওস্তাদ সানু দাসগুপ্ত, গীটার ওস্তাদ মদন মোহন ঘোষ, তবলা ওস্তাদ পলাশ দেব, কবি শংকর চৌধুরী, রাজীব চৌধুরী, মো: রাসেল, ইঞ্জিনিয়ার সুখময় বড়ুয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তরা রবীন্দ্র ও নজরুল এর জীবনী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সুস্থ, সুষ্ঠু সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চ্চায় রবীন্দ্র ও নজরুলের ভূমিকা আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরেন।
ওপার বাংলা থেকে প্রকাশিত, গুণী লেখক ও কবি জয়শ্রী বসু’র লেখা বই “মিতাসু” এর মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
কবিতা আবৃত্তি করেন কবি ও গুণীজন মোঃ ফোরকান, কবি দুর্জয় পাল, কবি সিমলা চৌধুরী, কবি সুপ্রিয় বড়ুয়া, কবি শংকর চৌধুরী প্রমুখ।
সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মোঃ হোসেন ইব্রাহিম,
লিংকন বড়ুয়া, অচিন্ত্য কুমার দাশ, আতিফা মাহজাবিন,
মোঃ আমিরুজ্জামান স্বপন, এহসান রহমান গুড্ডু,
রীমা দত্ত, ঐশিকা মল্লিক, পদ্মমিতা বড়ুয়া, অনন্যা বড়ুয়া, আদ্রিতা বড়ুয়া প্রমুখ।
হাওয়াইয়ান গীটারে বিভিন্ন গানের সুর বাজিয়ে শুনান শিল্পী সানু দাসগুপ্ত, মদন মোহন ঘোষ, দুর্জয় পাল, বিশুতোষ তালুকদার, রাজীব চৌধুরী প্রমুখ।
উপস্থাপনায় ছিলেন প্রিয়ান্কা সরকার।
সমগ্র অনুষ্ঠান গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন কবি ও গিটার শিল্পী দুর্জয় পাল।
কীবোর্ডে ছিলেন বনন চৌধুরী, তবলায় সংগত করেন পলাশ দেব, কানু রাম, রাজীব নন্দী। সাউন্ড সিস্টেম কন্ট্রোলে মোঃ বাবলু।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অনুষ্ঠান আহ্বায়ক রাজীব চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক মো: রাসেল, প্রধান সমন্বয়কারী সঞ্জয় পাল, সদস্য সচিব ইসরাত জাহান তনুকা ও নির্বাহী সদস্য সঞ্চিতা মজুমদার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনায় ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ওস্তাদ সানু দাশগুপ্ত ও মোঃ হোসেন ইব্রাহিম।
নান্দনিক আয়োজনে ‘বইমেলায়’ টেবিলে সাজানো ছিলো বিভিন্ন সুপরিচিত কবি’র রচিত বই ও নবযাত্রা পত্রিকা।
অনলাইনে শুভকামনা ও শুভেচ্ছা জানান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে কবি জয়শ্রী বসু, লন্ডন থেকে রাজীব নাথ এবং কানাডা থেকে প্রখ্যাত গিটার শিল্পী এনামুল কবির।
প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার চমৎকার ও প্রাণবন্ত সাহিত্য, সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনে উপস্থিত সকল সংস্কৃতিকর্মীদের উপচেপড়া পদচারণায় ভীড় ছিলো হলরুম।