নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নাজমা আক্তারের প্রথম স্বামী মোকলেছুর রহমান।উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের আরাজী পাইকডাঙ্গা গ্রামের মৃত বাছদ্দীনের ছেলে মোকলেছুর রহমান।স্বামীর মৃত্যুর কিছু দিন পর ছায়দুল ইসলামের সাথে ঢাকাতে পরিচয় হয়।ছায়দুল ইালাম ব্যবসায়িক কাজে গুলিস্তান থেকে উত্তরা যাওয়ার পথে লোকাল বাসে তাদের পরিচয় । নাজমা আক্তার শুরুতেই নিজের সমস্যার কথা তুলে ধরেন ছায়দুলের কাছে। নিজ এলাকার মেয়ে এটা চিন্তা করে একটা চাকরি এবং থাকার ব্যবস্থা করে দেয় ছায়দুল।কিছু দিন পর নাজমা ছায়দুলকে সুকৌশলে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।বিয়ের ২ বছরে ছায়দুলের দোকান এবং ব্যবসা প্রায় ধ্বংস করে দেয়।নাজমা ছায়দুলকে তার প্রথম বিয়ের কথা গোপন রাখে।নাজমা বিয়ের পর থেকে ছায়দুলকে শারীরিক এবং মানসিক চাপ দেওয়ার অভিযোগ করেন ছায়দুল।
বিভিন্ন সময়ে নানান অযুহাতে ছায়দুলের কাছে টাকা নিতো।আশানুরূপ টাকা না দিতে পারায় ছায়দুলকে ডিভোর্স দিয়ে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা জুড়ে দেয়। যে মামলাগুলো মিথ্যা প্রমাণ করতে করতে ছায়দুল এখন প্রায় নিঃস্ব। এখনও বিভিন্ন লোক মাধ্যমে ছায়দুলের কাছে টাকা দ্বাবি করে আসছে, টাকা দিলে মামলা তুলে নিবে এমনটা বলে নাজমা।ছায়দুলের সাথে মামলা চলাকালীন অবস্থায় জয়নাল আবেদীনকে বিয়ে করে নাজমা আক্তার।
জয়নাল আবেদীন নাজমার একই উপজেলার চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের নতুন হাট মুন্সীপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর আলীর পূত্র। জয়নাল আবেদীনের সাথে নাজমার বিয়ে হয় পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহরে এ ছাড়াও জয়নাল আবেদীন থেকে নগদ ১০ লক্ষ টাকারও বেশি বিভিন্ন সময়ে নানান কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে বলে দ্বাবী জয়নালের।বিয়ের পর নাজমা জয়নাল আবেদীন থেকে নগদ টাকা ছাড়াও বাইশ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে নেয়।যা সাফ কবলা মুলে (দলিল নং ৪৯২৫) ষোল শতক ও হেবা দলিল মূলে (দলিল নম্বর ২৫৫৮) আট শতক। জমি পাওয়ার কিছু দিন যেতে না যেতেই নাজমা আক্তার জয়নাল আবেদীনকে বড়ো অংকের নগদ টাকা এবং আরো জমি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। জয়নাল জমি এবং টাকা দিতে না পারার তাকে বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে। ছায়দুলের মত জয়নালকেও বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়।সামাজিকতার কারণে নাজমাকে স্ত্রী হিসেবে রাখতে কুড়িগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন জয়নাল আবেদীন পক্ষান্তরে নাজমা জয়নাল আবেদীনকে স্বামী হিসেবে অস্বীকার করে ।
এ ঘটনা যখন পুরো কুড়িগ্রামে আলোচনায় ঠিক তখনি জয়নাল আবেদীন কে ডিভোর্স না দিয়ে এরশাদুল নামে আরেকজনকে স্বামী হিসেবে দাবি করেন নাজমা আক্তার। এরশাদুল নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের টেপারকুঠি গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে। এরশাদুল নাজমাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করে।এরশাদুল নাজমা আক্তারকে খালা সম্মোদন করলেও নাজমা এরশাদুলকে স্বামী দাবি করে কুড়িগ্রাম জুডিশিয়াল আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়াও নাজমা আক্তারের বিরুদ্ধে আরো বিয়ে এবং প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। নাজমা ঢাকাতে যে গার্মেন্সে চারকি করতেন ওই জায়গায় এক ছেলেকে ফাসিয়ে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
কেউ সামাজিকতা এবং লোকলজ্জা ভয়ে এ নাজমা আক্তারের বিরুদ্ধে কথা বলে না।কথায় কথায় মামলার ভয় দেখান এ নাজমা আক্তার। নাজমার প্রতারণায় বেশ কয়েকটি পরিবার আর্থিক এবং সামাজিক ভাবে পঙ্গু এখন।বেশ কয়েকবার সংবাদ এর শিরোনাম হয়েছেন এ নাজমা।
এখনি নাজমা আক্তারকে দমানো না গেলে হয়তো আরো অনেক পরিবারের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে এ নাজমা। অনেকের মতে নাজমা যেন পুরো কুড়িগ্রামের অভিশাপ ।
বহু পরিবার যখন মামলা আর মানসিক যন্ত্রণায় ভোগে নাজমা এখনও সাজসজ্জায় থাকে প্রতিদিন।ভুক্তভোগীদের কষ্ট নাজমা আক্তারের বিলাশী জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে না।বহুপরিবার কষ্টে থাকলেও নাজমা থাকেন বেশ সুখে।
সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে ক্ষতিগ্রাস্ত পরিবার গুলোর একটাই দ্বাবী নাজমা আক্তারকে আইনের আওয়াতায় এনে সঠিক বিচারের মুখোমুখি করানো হোক এবং নাজমা আক্তারের করা মিথ্যা মামলা গুলো থেকে রক্ষা পাক ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। নাজমা আক্তারের মত এমন প্রতারণা আর কেউ না করতে পারে।
চেয়ারম্যানঃ-আব্দুর রহিম খান,
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো : মাসুদ রানা
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ঢাকার বার্তা ২৪