ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩’র এ্যাক্টের ব্যত্যয় ঘটেনি: চবি রেজিস্ট্রার

  • আপডেট সময় : ১১:২৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৩১৮৩ বার পড়া হয়েছে

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন বর্তমানে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ১৯৭৩’র অ্যাক্টকে সমুন্নত রেখে প্রচলিত বিধিবিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সু-শাসন নিশ্চিত করে একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন তরান্বিত করে চলেছে। কেউ কেউ এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উপাচার্য দপ্তরে প্রবেশ করে আপত্তিকর ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দাবি করেন৷

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৯৪ সালের ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত ২৮৩তম সিন্ডিকেট সভায় নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ‘বিভাগে/ইনস্টিটিউটের কোনো শিক্ষকের পদ খালি হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক, পরিকল্পনা কমিটির মাধ্যমে পদটি বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ না করিলে সেই ক্ষেত্রে উপাচার্যকে পদটির বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ক্ষমতা প্রদান করা হইল।’ রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে তাগাদাপত্র দেওয়ার পরও বাংলা বিভাগ ও আইন বিভাগের পরিকল্পনা কমিটি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ সম্বলিত মতামত না পাঠানোয় ২৮৩তম সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপাচার্য এই দুই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিতে শূন্য পদসমূহের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অতীতেও বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।

এছাড়া আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড শুরুর প্রাক্কালে (১৭ ডিসেম্বর ২০২৩) উপাচার্য দপ্তরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্বেথাকা কতিপয় শিক্ষক কর্তৃক অনুপ্রবেশের মাধ্যমে হট্টগোল সৃষ্টি করে দাপ্তরিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ, যা দৃষ্টিকটুও বটে। কতিপয় শিক্ষক এ সময় আগত প্রভাষক প্রার্থীদের অপেক্ষমান কক্ষে অবস্থান করে তাদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন এবং ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির কতিপয় সদস্যের এহেন আচরণ শিক্ষক সুলভ আচরণের পরিপন্থী। সংঘটিত এ ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত, অনভিপ্রেত ও আইনসঙ্গত নয় বলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করছে।

এছাড়া বাংলা বিভাগে যোগ্যতা শিথিল করে প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। কেননা কলা অনুষদ কর্তৃক নির্ধারিত সিজিপিএ’র ভিত্তিতেই শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ১৯৭৩ এর অ্যাক্টকে সমুন্নত রেখে প্রচলিত বিধিবিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সু-শাসন নিশ্চিত করে একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন তরান্বিত করে চলেছে। কেউ কেউ এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উপাচার্য দপ্তরে প্রবেশ করে আপত্তিকর ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩’র এ্যাক্টের ব্যত্যয় ঘটেনি: চবি রেজিস্ট্রার

আপডেট সময় : ১১:২৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন বর্তমানে অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ১৯৭৩’র অ্যাক্টকে সমুন্নত রেখে প্রচলিত বিধিবিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সু-শাসন নিশ্চিত করে একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন তরান্বিত করে চলেছে। কেউ কেউ এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উপাচার্য দপ্তরে প্রবেশ করে আপত্তিকর ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দাবি করেন৷

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৯৪ সালের ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত ২৮৩তম সিন্ডিকেট সভায় নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ‘বিভাগে/ইনস্টিটিউটের কোনো শিক্ষকের পদ খালি হওয়ার তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক, পরিকল্পনা কমিটির মাধ্যমে পদটি বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ না করিলে সেই ক্ষেত্রে উপাচার্যকে পদটির বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য ক্ষমতা প্রদান করা হইল।’ রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে তাগাদাপত্র দেওয়ার পরও বাংলা বিভাগ ও আইন বিভাগের পরিকল্পনা কমিটি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ সম্বলিত মতামত না পাঠানোয় ২৮৩তম সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উপাচার্য এই দুই বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিতে শূন্য পদসমূহের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অতীতেও বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে।

এছাড়া আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড শুরুর প্রাক্কালে (১৭ ডিসেম্বর ২০২৩) উপাচার্য দপ্তরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির দায়িত্বেথাকা কতিপয় শিক্ষক কর্তৃক অনুপ্রবেশের মাধ্যমে হট্টগোল সৃষ্টি করে দাপ্তরিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ, যা দৃষ্টিকটুও বটে। কতিপয় শিক্ষক এ সময় আগত প্রভাষক প্রার্থীদের অপেক্ষমান কক্ষে অবস্থান করে তাদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করেন এবং ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যকরী কমিটির কতিপয় সদস্যের এহেন আচরণ শিক্ষক সুলভ আচরণের পরিপন্থী। সংঘটিত এ ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত, অনভিপ্রেত ও আইনসঙ্গত নয় বলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করছে।

এছাড়া বাংলা বিভাগে যোগ্যতা শিথিল করে প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। কেননা কলা অনুষদ কর্তৃক নির্ধারিত সিজিপিএ’র ভিত্তিতেই শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সঙ্গে ১৯৭৩ এর অ্যাক্টকে সমুন্নত রেখে প্রচলিত বিধিবিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সু-শাসন নিশ্চিত করে একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন তরান্বিত করে চলেছে। কেউ কেউ এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উপাচার্য দপ্তরে প্রবেশ করে আপত্তিকর ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।