পবিত্র রমজান ও ইদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে সক্রিয় হয় উঠেছে ছিনতাইকারী ও চোর চক্র। রাজধানীতে রাত-বিরাতে চলাচলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় কেউ না কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন, খোয়াচ্ছেন সঙ্গে থাকা দামী মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার কিংবা টাকা-পয়সা। বাধা দিলেই ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অনেকে হচ্ছেন আহত, ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে নগরবাসীকে রাত-বিরাতে চলাচলে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে রাতে চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার ঠেকাতে কাজ করছে ডিএমপির কলাবাগান থানা পুলিশ।
অদ্য ২ এপ্রিল ২৩ ইং ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন,ছিনতাইকারীদের মধ্যে বড় একটি অংশ মাদকাসক্ত। রাতে বিভিন্ন রাস্তা প্রধান সড়ক কিংবা রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অলিগলিতে লোকসমাগম কম থাকে। নির্জন জায়গায় কাউকে পেলে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা, মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ জন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি।
গত ২৯ মার্চ ২৩ ইং থেকে ৩১ মার্চ ২৩ ইং পযর্ন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহেন শাহ্ এর দিক নির্দেশনায় এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান এর নেতৃত্বে কলাবাগান থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের কলাবাগান থানার আভিযানিক একটি টিম তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি’র ফুটেজ পযার্লোচনা ও তথ্য—প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের অবস্থান, নাম—ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।পরবর্তীতে ২৯ মার্চ ২০২৩ ইং হতে ৩১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে অত্র মামলার চুরি যাওয়া ০৪ টি মোবাইল ফোনসহ সর্বমোট ৪২ টি মোবাইল ও ০৩ টি ল্যাপটপ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়।বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধারসহ সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার
করতে সক্ষম হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন,নুর ইসলাম (৩৫), আবু বরকত মিশকাত (৩২)।
সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ শহিদুল্লাহ আরো জানান গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পরষ্পরের যোগসাজসে রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন উপায়ে মোবাইল, ল্যাপটপ চুরি করে গ্রেফতারকৃতদের অন্যান্য সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করে। গ্রেফতারকৃতরা জানান তারা চোরাইকৃত মোবাইল ফোনগুলোর আইএমআই নম্বর পরিবর্তন করে এবং মোবাইল ফোনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পৃথকভাবে খুলে স্বল্পমূল্যে অন্যত্র বিক্রি করে।উক্ত ঘটনার বিষয়ে কলবাগান থানায় ১ টি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।পলাতক অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
ডিএমপি মডেল থানার সু-যোগ্য অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ’কে বলেন,রাতে রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা প্রধান সড়ক কিংবা অলিগলিতে লোকসমাগম কম যেখানে সেখানে না যাওয়া ।নির্জন জায়গায় একা-একা না হাঁটা চলা করার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান তিনি। ইতি মধ্য বেশ কিছু মোবাইল ফোন ও লেপটপ উদ্ধার করছে ডিএমপি কলাবাগান থানা পুলিশ আপনারা যারা ডিএমপি কলাবাগান থানায় হারানো মোবাইলের জিডি করেছেন জিডি কপি সহ মোবাইলে আইমিমেচ করা বক্স নিয়ে থানা এসে যোগাযোগ করবেন ।