ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

বিএসএমএমইউতে বিএমডিসির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ!

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ৩৩৩১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ করছেন একাধিক শিক্ষক। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩৮৩ জন এবং ভোট প্রদান করেন ৩৬৩ জন।

ভোটাররা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের প্রমোশন আটকে রাখা একটি গোষ্ঠী নির্বাচনে সুবিধা নিয়েছে। এ ছাড়া ভোটারদের চিহ্নিত করে রাখতে ব্যালট পেপার নাম্বার যুক্ত করা হয়েছে। সাবেক শিক্ষক ও চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদেরও ভোট গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ভোটাররা নিজেদের পছন্দ মতো প্রার্থী বাছাই করতে পারেনি।

নির্বাচনে মোট দশজন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রত্যেক ভোটার ২টি করে ভোট প্রদান করেন। প্রার্থীরা হলেন- সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রাসেল (প্রাপ্ত ভোট১৪৬)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ (প্রাপ্ত ভোট ১০৮)। নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সবুজ (প্রাপ্ত ভোট ১০৫), ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক (প্রাপ্ত ভোট ১০৪), ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু (প্রাপ্ত ভোট ৯৯), নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক (প্রাপ্ত ভোট ৬৪), এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানু (প্রাপ্ত ভোট ৩৮), ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ মো. সাইফুল ইসলাম শাহীন (প্রাপ্ত ভোট ২৪), নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহুরুল হক সাচ্চু (প্রাপ্ত ভোট ২৩) এবং হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দিন শাহ (প্রাপ্ত ভোট ৭)।নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সদস্য অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাদা সেলিম বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ হবে কেন, যারা পিআরএল-এ আছে তারা সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। আর ব্যালট পেপারে নাম্বার সেটি থাকতেই পারে। আমাদের এখানে তিন বিভাগে বই ছিল পাঁচটি। এখানে কে কোথায় ভোট দিয়েছে তা জানার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না।

নির্বাচনের দিন সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ভোট গ্রহণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং ভোটের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সবার মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আগামী দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে বিএমডিসিকে নীতি নির্ধারক পর্যায়ে পরামর্শ দেবেন ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সহযোগিতা করবেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সবার মতামত নিয়ে বিএমডিসিকে এগিয়ে নেবে। দিনব্যাপী এ সুষ্ঠু ভোট উপাহার দেবার জন্য বিএমডিসি শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

বিএসএমএমইউতে বিএমডিসির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ!

আপডেট সময় : ১২:৫৪:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ বলে অভিযোগ করছেন একাধিক শিক্ষক। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৩৮৩ জন এবং ভোট প্রদান করেন ৩৬৩ জন।

ভোটাররা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকদের প্রমোশন আটকে রাখা একটি গোষ্ঠী নির্বাচনে সুবিধা নিয়েছে। এ ছাড়া ভোটারদের চিহ্নিত করে রাখতে ব্যালট পেপার নাম্বার যুক্ত করা হয়েছে। সাবেক শিক্ষক ও চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্তদেরও ভোট গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে ভোটাররা নিজেদের পছন্দ মতো প্রার্থী বাছাই করতে পারেনি।

নির্বাচনে মোট দশজন শিক্ষক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রত্যেক ভোটার ২টি করে ভোট প্রদান করেন। প্রার্থীরা হলেন- সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. রাসেল (প্রাপ্ত ভোট১৪৬)। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ (প্রাপ্ত ভোট ১০৮)। নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সবুজ (প্রাপ্ত ভোট ১০৫), ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক (প্রাপ্ত ভোট ১০৪), ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. তৌহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু (প্রাপ্ত ভোট ৯৯), নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক (প্রাপ্ত ভোট ৬৪), এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানু (প্রাপ্ত ভোট ৩৮), ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ মো. সাইফুল ইসলাম শাহীন (প্রাপ্ত ভোট ২৪), নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. এএইচএম জহুরুল হক সাচ্চু (প্রাপ্ত ভোট ২৩) এবং হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দিন শাহ (প্রাপ্ত ভোট ৭)।নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সদস্য অ্যান্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাদা সেলিম বলেন, প্রশ্নবিদ্ধ ও ত্রুটিপূর্ণ হবে কেন, যারা পিআরএল-এ আছে তারা সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। আর ব্যালট পেপারে নাম্বার সেটি থাকতেই পারে। আমাদের এখানে তিন বিভাগে বই ছিল পাঁচটি। এখানে কে কোথায় ভোট দিয়েছে তা জানার সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না।

নির্বাচনের দিন সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ভোট গ্রহণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং ভোটের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সবার মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল পর্যায়ে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আগামী দিনগুলোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে বিএমডিসিকে নীতি নির্ধারক পর্যায়ে পরামর্শ দেবেন ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে সহযোগিতা করবেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সবার মতামত নিয়ে বিএমডিসিকে এগিয়ে নেবে। দিনব্যাপী এ সুষ্ঠু ভোট উপাহার দেবার জন্য বিএমডিসি শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।