নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা: রাজধানীর কমলাপুরে অবস্থিত দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের (মোর্শেদ এর মাজার) ও তার স্ত্রীর মাজার জিয়ারতে তার সন্তানদের বাধার মুখে পড়েছেন দেওয়ানবাগীর ব্যক্তিগত সহকারী শেখ মোহাম্মদ শরীয়তুল্লাহ বিপ্লব ও তার স্ত্রী মাহমুদা।
বুধবার সকালে মোর্শেদ দেওয়ানবাগীর স্ত্রীর ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে কমলাপুরে বাবে মদিনা মাজার জিয়ারতে গেলে শরীয়তুল্লাহ বিপ্লব, মাহমুদাসহ দেওয়ানবাগীর বেশ কয়েকজন ভক্ত বাঁধার মুখে পড়েন। পরে মতিঝিল থানা পুলিশের সহায়তার মাজার জিয়ারত করেন তারা।
জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের শরীয়তুল্লাহ বিপ্লব বলেন, পীরের আস্তানা দেওয়ানবাগ শরীফের পাশেই উটের খামার করা হয়, যার মালিক মো. আব্দুর গফুর, দাগ নং ৮৪১, ৮৪৩ খতিয়ান নং ৬৪। আব্দুল গফুরের দেওয়া পাওয়ার মূলে এই জায়গার দাবীদার এখন আমি শরীয়তুল্লাহ বিপ্লব কিন্তু ওই জায়গা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে প্রশ্ন না ওঠে সে বিষয়ে আমার মোর্শেদ দেওয়ানবাগীকে পরামর্শ দিলে, তিনি তার ছেলে মেয়েদের জানায়। তার পর থেকে ওনার ছেলেরা আমার প্রতি ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়।
এরপরে ২০০৯ সালে পীরের স্ত্রী মারা যান। উনি আমাকে সন্তানের মত অধিক স্নেহ করতেন এবং বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা দিতেন। আমি আমার সাধ্যমত তার সন্তানদের জন্য লেখাপড়াসহ বিভিন্ন কাজে খরচ করতাম। এখন পর্যন্ত তাদের পেছনে খরচ করার তিন কোটি টাকার অধিক পাওনা। যদিও আমি ওই পরিবারের সন্তান ও তাদের জন্যে বিভিন্নভাবে টাকা খরচ করেছি। এসব খরচের বিভিন্ন ভাউচার, নথি এবং তথ্য আমার কাছে রয়েছে। এসব পাওনা টাকাগুলো না দিতে, দরবারের নজরানার চাঁদা এবং মাজারে পাশে দখল করা আব্দুল গফুরের জমিতে উটের খামার নিয়ে কথা বলার কারনে আমাকে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছে একপর্যায়ে আমি গেলে আমাকে মারধর করেছে। সেখান থেকে প্রাণে বেঁচে আসলেও তারপর থেকে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে, তখন দরবারে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রীকেও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে।
২০১৪ সাল থেকে আমাকে মাজারে ঢুকতে দেয়া হয় না। এরপরও আমি মাঝেমধ্যে লুকিয়ে দরবারে গিয়ে মাজার জিয়ারত করেছি। এরমধ্যে ২০২৩ সালের শেষের দিকে আদালতের ধারাস্ত হই। এরপর আদালতে নির্দেশনায় ২০২৪ সালের সেখানে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি কয়েকবার। কিন্তু তারপরেও আমার স্ত্রী ও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে আমি ভয়ে পালিয়ে এবং লুকিয়ে লুকিয়ে থাকি। এর মধ্যে বিষয়টি লিখিতভাবে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ডিএমপি কমিশনারকে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, আজকে ৬৭তম জন্মদিনে আমি এসেছিলাম। কিন্তু আজও তাদের বাঁধার মুখোমুখি হই। পরে থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ এসে জিয়ারতের ব্যবস্থা করে দেয়।
ডিআই/এসকে