চলছে পবিত্র মাহে রমজান,কয়েকদিন পর ঈদুল ফিতর(ঈদ)।ঈদ কে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে পড়েছে বাড্ডাসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অপরাধী চক্র।
তারাই ধারাবাহিকতায় বাড্ডা থানায় যোগদানকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)ইয়াসীন গাজী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন।
সাম্প্রতিক বাড্ডা থানার আওতাধীন বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় গত ৩১ মার্চ রবিবার বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালে সন্ধ্যা ৬ ঘটিকার সময় বাড্ডা থানাধীন আফতাবনগর লোহার ব্রীজ অবস্থানকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, বাড্ডা থানাধীন মেরুল কাঁচা বাজার সলগ্ন মোঃ আমিনুল ইসলাম আমিন এর ভাড়াকৃত সেমি পাকা গোডাউনে কতিপয় ব্যক্তি খাদ্য অধিদপ্তরের সরকারী লোগো সম্বলিলিত বস্তা ভর্তি চাউল অবৈধভাবে কালো বাজারীর মাধ্যমে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্লাষ্টিকের বস্তায় পরিবর্তন করে বাজার জাতের প্রক্রিয়া করিতেছে মর্মে সংবাদ পায়। সংবাদের সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে তাৎক্ষণিকভাবে বাড্ডা থানার সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইয়াসীন গাজীর সার্বিক দিকনির্দেশনা সঙ্গে সঙ্গে ঐ স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বাড্ডা থানা পুলিশ।
বাড্ডা থানা পুলিশ ঘটনার স্থলে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আসামীরা দৌড়ঝাপ ও ছুটাছুটি শুরু করে।তাৎক্ষনিক বাড্ডা থানা পুলিশ তাদের সহায়তায় ১নং হইতে ১১নং আসামীদের হাতেনাতে আটক বাড্ডা থানা পুলিশ।
এই বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)ইয়াসীন গাজী সাংবাদিকদের জানান গোপন সংবাদে ভিত্তিতে আমরা খবর পাইযে কতিপয় ব্যক্তি গোড়াউন ভাড়া করে খাদ্য অধিদপ্তরে ৩০ কেজি পাটের চাউলের বস্তার অন্য কোম্পানীর লগোযুক্ত বস্তায় স্থানাতর করেন। খবর পেয়ে আমার অফিসার ফোর্স সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনা সত্যতা পায় ।গ্রেফতারকৃতদের মধ্য একজন উক্ত গোডাউনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরো জানান যে অত্র গোডাউন ভাড়া নিয়ে সরকারী খাদ্য অধিদপ্তরে ১৯ টন চাউল তারা মজুদ করেন।মজুদকৃত চাল গুলো সরকারী লগো সংযুক্ত বস্তা থেকে খুলে অন্য বস্তায় ঢুকিয়ে কালোবাজারী করার চেষ্টা কালে আমরা তাদের হাতে নাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা যোগসাজছে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা/কর্মচারী ও ঠিকাদারদের মাধ্যমে সরকারী খাদ্য ভান্ডার থেকে চোরাই ভাবে সংগ্রহ করে ৯,১০ ও ১১নং আসামীদের মাধ্যমে ট্রাকে করে অত্র গোডাউনে নিয়ে আসলে ১নং থেকে ৮ নং আসামীরা খাদ্য অধিদপ্তর লগো সম্বলিত সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে ভিন্ন নামে ৫০ কেজি ওজনের নুর জাহান ব্যান্ড (NOOR JAHAN Brand)নামক প্লাষ্টিকের বস্তায় ঢুকিয়ে আধুনিক মেশিন দ্বারা সেলাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সরবরাহ করে থাকে।
বর্ণিত চাল সমূহ লোড-আনলোডের সময় পলাতক ১২নং আসামী সহ তার সহযোগী পলাতক অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের মাধ্যমে পাহারা দিয়ে দ্রুত অন্যত্র সরবরাহের সহায়তায় করে থাকে। যেহেতু এটি একটি গর্হিত কাজ, সেই জন্যই আসামীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা কালে ৮ জন কে বাড্ডা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে বলে জানান তিনি।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বাকী আসামীদের আইনের আওতা আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে ও জানা তিনি।