খান মেহেদী :- বাকেরগঞ্জে ওসি মো. আফজাল হোসেন ও এএসআই মাকসুদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে চোরাই গাড়িসহ চোর ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, বুধবার (২৭ মার্চ) ঢাকা থেকে ভোলা সদরের ইলিশা গ্রামের মো. ফজলুল হকের পুত্র কামাল হোসেন পিক-আপে করে দুইটি চোরাই অটোরিকশাসহ শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড পৌছালে এএসআই মাকসুদ পিক-আপ ভ্যানসহ চোর এবং চোরাই অটোরিকশা দুটি আটক করে। পরে অটোরিকশা দুটি দুপুরে বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে রেখে দিয়ে চোর কামালকে নিয়ে থানায় নিয়ে যায়।
এরপরে ওসি আফজাল হোসেন ও এএসআই মাকসুদ চোর কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, চোরাই গাড়ির মূল মালিক পরিচেয় দুই ব্যক্তি ঢাকা থেকে বাকেরগঞ্জে আসে। পরে ওসি ও দারোগাকে ৩০ হাজার টাকার বিনিমেয় ম্যানেজ করে অন্য একটি পিক-আপ ভ্যানে করে রাত ৮ টায় ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়। চোর কামালের শ্বাশুড়ি রেহেনা বেগমকে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দাওকাটী গ্রাম থেকে থানায় ডেকে আনে এবং ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তার জামাই কামালকে চুরি মামলায় না দিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে ২৮ মার্চ সকাল ১০টায় আদালতে প্রেরণ করেন। চোর ও চোরাই গাড়ি ছেড়ে দেয়ার ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী চোর কামালের শ্বাশুড়ি রেহেনা বেগম জানান, আমার মেয়ে জামাইকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ২৫ হাজার টাকা ও গাড়ি দুটি ছাড়িয়ে ঢাকা নেয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৫৫ হাজার টাকা থানা পুলিশকে দিলেও তারা আমার মেয়ে জামাইকে সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠিয়ে দেয়।
এএসআই মাকসুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে ওসি স্যারের সঙ্গে কথা বলুন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে ফোনে নয়, থানায় এসে সাক্ষাতে কথা বলার অনুরোধ জানান তিনি।