
নিজস্ব প্রতিবেদক:- বরিশালের বাকেরগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ জননেতা মোঃ আবুল হোসেন খান–এর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সময়ে এডভোকেট নজরুল ইসলাম রাজনের অশোভন, ভিত্তিহীন ও কুৎসামূলক বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দরা বলেন, জননেতা আবুল হোসেন খান বিএনপির দুর্দিনে সাহসী কণ্ঠস্বর ছিলেন। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন, হাসনাত আব্দুল্লাহর সন্ত্রাসী বাহিনী ও সরকারি পেটুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে তিনি দক্ষিণবঙ্গের মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হন। তারেক রহমানের আস্থাভাজন এই নেতা জেল-জুলুম-হামলার মুখে জনগণের অধিকার রক্ষায় আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন।
তারা আরও জানান, ২০০১ সালে ধানের শীষ প্রতীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে বাকেরগঞ্জকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত করেছিলেন তিনি। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। গত ১৭ বছর দক্ষিণ জেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বক্তারা অভিযোগ করেন, এডভোকেট নজরুল ইসলাম রাজনের এই অপপ্রচার আসলে বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র। তারা দাবি করেন, রাজনের বড় ভাই এডভোকেট রশিদ খান বহু আগেই আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন ২০০৮ সালে স্বৈরশাসকের পক্ষে সরাসরি রাজপথে ভূমিকা রাখেন তৎকালীন সময়ে এডভোকেট রশিদ খান দেশ নায়ক তারেক রহমানের ফাঁসির দাবি করেন এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরিশালের টোংচরে বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও রাজন হঠাৎ বাকেরগঞ্জে এসে এমপি প্রার্থী হওয়ার দাবি করছেন, অথচ সাধারণ জনগণ তাকে চেনেনই না।
বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান বলেন—“আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য রাজনীতি করছি। যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলছে, তারা আসলে বিএনপির ক্ষতি করতে চাইছে। সুস্থ ধারার রাজনীতির মধ্য দিয়েই দল করতে হবে।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন— “১৭ বছর তিনি কোথায় ছিলেন? হঠাৎ কেন বাকেরগঞ্জে এসে নিজেকে এমপি প্রার্থী দাবি করছেন?”
সর্বসম্মতভাবে নেতৃবৃন্দরা ঘোষণা দেন, “সাবেক এমপি ও জননেতা আবুল হোসেন খানের বিরুদ্ধে কোনো অপপ্রচার বরদাশত করা হবে না। জনগণ ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা তার পাশে আছেন এবং থাকবেন।”