নিজস্ব সংবাদদাতা বাকেরগঞ্জ বরিশাল।। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের সাইদুর রহমানের কন্যা ফজিলাতুন নেছা (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ফজিলাতুন নেছা পূর্ব মহেশপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
২৯ জুলাই (সোমবার) বরিশাল আদালতে নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ভুক্তভোগী ফজিলাতুন নেছার মা ফাতিম আক্তার বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতি ইউনিয়নের পূর্ব মহেশপুর গ্রামের শাহাদাত খানের পুত্র সোহাগ খান ফজিলাতুন নেছাকে স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জুলাই রাত ১০ টায় ফজিলাতুন নেছা তার ঘরের পিছনে বাথরুমে গেলে পরিকল্পিতভাবে সোহাগ খান তার সাথে থাকা তিন সহযোগীর সহায়তায় ফজিলাতুন নেছাকে মুখে ওড়না পেচিয়ে ধর্ষণ করেন। অন্যান্য আসামিরা হলেন, বিহারী পুর গ্রামের মোস্তফা খানের পুত্র শহীদুল খান। পুর্ব মহেশপুর গ্রামের সালাম মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা ও মান্নান খানের পুত্র রাকিব খান।
এ বিষয়ে সোহাগ খানের পিতা শাহাদত খান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ষড়যন্ত্র করে আমার ছেলেকে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
অপরদিকে ফরিদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাদশালা গ্রামের হানিফ হাওলাদার কন্যা আয়শা আক্তার (১৬) কে দর্শনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মমিন ফকিরের বিরুদ্ধে। আয়শা আক্তার ফরিদপুর ইউনিয়নের রোকনউদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুলাই (শুক্রবার) রাত ১১ টায় রোকনউদ্দিন গ্রামের শাকিল তালুকদার (২০) পার্শ্ববর্তী গ্রামে প্রেমিকা আয়শার সাথে দেখা করতে যান। একই এলাকার মোদির দোকানদার মমিন ফকিরের সহযোগিতায় রাত ১১ টায় আয়শা ঘরের বাহিরে প্রেমিক শাকিলের সাথে দেখা করতে আসেন। আয়শার বাড়ির পিছনে গভীর রাতে শাকিলের সাথে কথা বলার সময় বাড়ির মধ্যে থেকে একটি লাইটের আলো দেখতে পেলে শাকিল আয়শাকে মমিন হাওলাদারের কাছে রেখে ঘটনা স্থান ত্যাগ করেন। এ সময় মমিন ফকির আয়শাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে আয়শার ডাক চিৎকারে বাড়ির মানুষ ছুটে আসলে মোমিন ফকির পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পর থেকে মমিন আত্মগোপনে রয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।