খান মেহেদী :- বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগ এখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয় ২০০২ সালে। এর পর প্রায় ২২ বছর পেরিয়ে গেলেও আর কোনো সম্মেলন বা পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
উক্ত কমিটিতে বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া সভাপতি ও মোকলেচুর রহমান সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এরপর মাঝখানে ২০১২ সালে সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজ মাঠে এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে যুবলীগের সভাপতি লোকমান হোসেন ডাকুয়াকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর ১২ বছর পার হলেও সভাপতির পথ এখনো শূন্য রয়েছে। এরপর ২০১৯ সালে বাকেরগঞ্জ জেএসইউ মডেল হাই স্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো শামসুল আলম চুন্নুকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও লোকমান হোসেন ডাকুয়াকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। অথচ যুবলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০ বছর আগেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গরূপে কমিটি গঠন হয়নি। এখন সংগঠনের কার্যক্রম অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে মেয়াদ নেই উপজেলা ছাত্র লীগের কমিটির। ২০১১ সালে সাইফুল ইসলাম ডাকুয়া সভাপতি ও সৈয়দ রিপন সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্র লীগের কমিটি করা হলেও এখন তা এক যুগ পার হয়েছে। উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি এক বছর মেয়াদ থাকার কথা থাকলেও এখন তা ১৩ বছরে পা রেখেছে। টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকার পরও আওয়ামী লীগের অন্যতম এই দুই সহযোগী সংগঠন বাকেরগঞ্জ উপজেলায় পড়েছে অস্তিত্ব সংকটে। প্রায় দুই যুগের বেশি সময় সম্মেলন না হওয়ায় সংগঠনগুলোর পদ প্রত্যাশীসহ মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে দীর্ঘ বছর ধরে। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী এই সংগঠনের ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ তারা। নেতৃত্বের সক্ষমতা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। হাতেগোনা দুই একজন ছাড়া তেমন কোনো নেতাকর্মীদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দলীয় সুযোগ-সুবিধা থেকেও উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীরা সুবিধা বঞ্চিত। আর এর সবচেয়ে বড় কারণ অভিভাবকহীন নেতৃত্ব।
উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের তৃণমূলে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানান, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যুবলীগ,ছাত্রলীগ। দলের কোথাও জায়গা না পেয়ে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন অনেকেই। দলের দুঃসময় আসলেই তখন আন্দোলনের মাঠে তেমন কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা দ্রত সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি করার দাবি জানিয়েছেন জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিপন বলেন, নিয়মিত কমিটি না থাকায় নেতাকর্মীরা সব ঝিমিয়ে পড়েছে। অনিশ্চয়তায় পড়ে দল করার মানসিকতাই হারিয়ে ফেলেছে অনেকে। উপজেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যন্ত ছাত্র লীগ যুবলীগের সকল ইউনিটের কমিটির মেয়ার উত্তীর্ণ হয়েছে বহু বছর আগে। তাই সংগঠনের প্রাণ ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
জেলা যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্মেলনের মাধ্যমে বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের কমিটি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
চেয়ারম্যানঃ-আব্দুর রহিম খান,
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো : মাসুদ রানা
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ঢাকার বার্তা ২৪