ঢাকা ০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎ এখন যায় না বার বার আসে!

  • আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪
  • ৩০৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। দিন-রাত ইচ্ছে মতো সময়ে অসময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া এখন বিদ্যুৎ অফিসের নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের এমন আচরণে বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। রমজানে লোডশেডিং নিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রমজান মাসে ইফতার, তারাবিহ নামাজ ও সেহরির সময়েও দেখা দেয় লোডশেডিং।

৬ এপ্রিয় শনিবার দিনে ১২ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যায় ৬ বার। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সময় হল সকাল ১০ টা থেকে ১১ পর্যন্ত এক ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। আবার দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সার্ভিস। আবার ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সার্ভিস বন্ধ থাকে। এক ঘন্টা চালু থাকার পরে আবার ৫ টায় পুনরায় বিদ্যুৎ চলে যায়। এক ঘন্টা পরে ৬ টায় বিদ্যুৎ চালু হলে আবার রাত ৮ টায় চলে যায়। ঘন্টা পর ঘন্টা বিদ্যুতের এমন অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। আবার অসৎ উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের বার বার যাওয়া আসার কারনে ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটার, বাল্বসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঈদ বাজারে ব্যাবসায়ি ও ক্রেতাদের একদিকে চৈত্র মাসের তাপদাহ অপরদিকে ক্রেতাদের ভিড় অসহনীয় গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরছে। বিদ্যুৎ না থাকায় হাট বাজার শপিং মহলে দম যেনো এখন বন্ধ হয়ে আসছে।

এখন শুধু এক দিনের নয়, নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভোগান্তি। বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য অভিযোগ নাম্বারে ফোন করা হলেও সেটিও প্রায় সময় রিসিফ করেন না। এমনকি কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলেও ঐ নম্বরে ফোন করে পাওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ এখন যায় না বার বার আসে। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিস ডিজিএম জানান, ট্রান্সফরমারে অতিরিক্ত লোড তাই একটু বিদ্যুৎ সার্ভিসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলাতে ৩ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ লোডশেডিং আছে। আমরা কাজ করতেছি অতি শীঘ্রই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সার্ভিস দেওয়া হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎ এখন যায় না বার বার আসে!

আপডেট সময় : ১০:১৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। দিন-রাত ইচ্ছে মতো সময়ে অসময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া এখন বিদ্যুৎ অফিসের নিয়মে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের এমন আচরণে বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেখা দিয়েছে চরম স্থবিরতা। রমজানে লোডশেডিং নিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। রমজান মাসে ইফতার, তারাবিহ নামাজ ও সেহরির সময়েও দেখা দেয় লোডশেডিং।

৬ এপ্রিয় শনিবার দিনে ১২ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ যায় ৬ বার। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সময় হল সকাল ১০ টা থেকে ১১ পর্যন্ত এক ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। আবার দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সার্ভিস। আবার ৩ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সার্ভিস বন্ধ থাকে। এক ঘন্টা চালু থাকার পরে আবার ৫ টায় পুনরায় বিদ্যুৎ চলে যায়। এক ঘন্টা পরে ৬ টায় বিদ্যুৎ চালু হলে আবার রাত ৮ টায় চলে যায়। ঘন্টা পর ঘন্টা বিদ্যুতের এমন অসহনীয় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। আবার অসৎ উদ্দেশ্যে বিদ্যুৎ সার্ভিস বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের বার বার যাওয়া আসার কারনে ফ্রিজ, মোটর, কম্পিউটার, বাল্বসহ যান্ত্রিক ও ইলেকট্রিক সামগ্রী নষ্ট হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসা, ব্যাংকিং সেবা, শিক্ষা ও গৃহস্থালির কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঈদ বাজারে ব্যাবসায়ি ও ক্রেতাদের একদিকে চৈত্র মাসের তাপদাহ অপরদিকে ক্রেতাদের ভিড় অসহনীয় গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পরছে। বিদ্যুৎ না থাকায় হাট বাজার শপিং মহলে দম যেনো এখন বন্ধ হয়ে আসছে।

এখন শুধু এক দিনের নয়, নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভোগান্তি। বিদ্যুৎ সেবা প্রদানের জন্য অভিযোগ নাম্বারে ফোন করা হলেও সেটিও প্রায় সময় রিসিফ করেন না। এমনকি কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলেও ঐ নম্বরে ফোন করে পাওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ এখন যায় না বার বার আসে। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ বাকেরগঞ্জ জোনাল অফিস ডিজিএম জানান, ট্রান্সফরমারে অতিরিক্ত লোড তাই একটু বিদ্যুৎ সার্ভিসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলাতে ৩ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ লোডশেডিং আছে। আমরা কাজ করতেছি অতি শীঘ্রই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সার্ভিস দেওয়া হবে।