নিজস্ব প্রতিবেদক :- বাকেরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্য গুদামের সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির মহোৎসব চলছে। উপজেলার চরাদি হলতা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা উম্মে কুলসুমের বিরুদ্ধে গোডাউনের সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
৩ এপ্রিল ওই গুদামে খুলনা থেকে দুটি জাহাজে চাল আসলে তা শ্রমিক দিয়ে গোডাউনে উত্তোলনের সময় দুপুর ১২ টায় একটি ভ্যান গাড়িতে করে সরকারি গোডাউন থেকে এক কিলোমিটার দূরে রাজার চাউলের মিলে গুদাম কর্মকর্তার নির্দেশে শ্রমিকরা চাল নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাড়াহুড়া করে তা আবার বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যর্থ হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হলতা খাদ্য গুদাম থেকে এক কিলোমিটার দূরে স্থানীয় রাজা নামের এক ব্যক্তি চাল মিলের মালিক। ওই রাজার সাথে খাদ্য গুদামের কর্মকর্তার উম্মে কুলসুমের সাথে দীর্ঘদিন থেকে কালোবাজারে চাল ক্রয় ও বিক্রয় চলে আসছে। এরি ধারাবাহিকতায় জাহাজ থেকে চাল উত্তোলন করে ভ্যান গাড়িতে করে গোডাউনে না নিয়ে রাজা তার চাল মিলে নিয়ে বস্তা পরিবর্তন করে।
ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন জানান, সরকার ১৫ টাকা কেজি দরে চাউল তালিকা ভুক্ত সুবিধাভোগীদের মাঝে বিক্রয় করে আসছেন। হলতা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম সেই চাউল তার পরিচিত খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা রাজার মাধ্যমে খোলাবাজার বিক্রি করেন।
সেই চাউল গুলো আবারও প্যাকেটজাত করে মিল মালিক রাজা কৌশলে বাজারে বিক্রি করেন। এতে যা লাভ হয় তা ওই গুদাম কর্মকর্তাসহ এ অনিয়মের সাথে জড়িতরা ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকেন। চাউল মিলের মালিক রাজা বলেন, তার মিলে চাল ঢুকানোর সাথে তিনি জড়িত নয় বলে দাবী করন। তিনি বলেন জাহাজে চাল ভিজে গেছে তাই শুকাতে আমার চাল মিলে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বক্তব্য দিতে রাজি নয়। তবে তিনি সাংবাদিকদের সংবাদ না করার অনুরোধ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।