নিজস্ব সংবাদদাতা বাকেরগঞ্জ বরিশাল।। বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদারের বিরুদ্ধ তার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ আক্তার মনি ও দুই কন্যা সন্তানকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ আক্তার মনি অভিযোগ করে বলেন, আমি হিন্দু পরিবারের সন্তান ছিলাম। হানিফ তালুকদার আমাকে সাত বছর বিভিন্নভাবে জ্বালিয়েছে বিয়ের আগে। এরপর ৩০ বছর আগে হানিফ তালুকদার আমাকে জোর করে বিবাহ করেন। এবং আমার বাবাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিয়ে ইন্ডিয়া পাঠায়। আমার বাবার সকল সম্পত্তি হানিফ তালুকদার আত্মসাৎ করেছেন। তার প্রথম স্ত্রী বাড়িতে রয়েছে। হানিফ তালুকদার আমাকে বরিশাল সদর রোড বাটার গলিতে একটি বাড়িতে ভাড়া বাসায় রাখেন। সেখানে আমি আমার দুই কন্যা সন্তান পপি ও পান্নাকে নিয়ে আঠারো বছর যাবত বসবাস করে আসছি। হানিফ তালুকদার মাঝে মধ্যে আমার বাসায় আসেন। প্রতি মাসে বাসা ভাড়া চাইতে গেলেই আমাকেও আমার সন্তানদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়। গত ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার) রাত ১১ টায় আমি ও আমার দুই কন্যা সন্তানের উপর বেধর মারধর চালায়। ওই রাতেই তিনি আমার বাসা থেকে তার কাপড়-চোপড় নিয়ে বের হয়ে যায়। এই বিষয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এর আগে ৩০ জুলাই (মঙ্গলবার ) চেয়ারম্যান হানিফ তালুকদার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতাজ আক্তার মনি তার ব্যবহারিত ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করে লিখেছেন, ৫ নং দুর্গাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মো: হানিফ তালুকদার তার দ্বিতীয় বউ মমতাজ আক্তার মনি ঘর ভাড়া ও সংসারে যাবতীয় খরচ চাওয়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার মাধ্যমে তার বউ এবং দুই মেয়েকে শারীরিক ভাবে আঘাত করার পর সব শেষে এসব বিষয় নিয়ে মুখ না খোলার জন্য বটি দিয়ে কোপানোর হুমকি দেয়। অতপর আজ ৩০-০৭-২৪ মঙ্গলবার রাত ৯ টা ৩০ মিনিটে তার নিজের যাবতীয় সবকিছু নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এমতাবস্থায় তার স্ত্রীও কন্যাদ্বয়ের যদি চুল পরিমাণ শারীরিক ও মানসিকভাবে কোন ক্ষতি হয় তবে তার সমস্ত দায়ভার চেয়ারম্যান জনাব হানিফ তালুকদার নিতে বাধ্য থাকবেন এবং ৩০ বছর যাবত তার স্ত্রী এবং কন্যাদ্বয যে অত্যাচারের শিকার তার আইন অনুগত সঠিক বিচার হোক।