খান মেহেদী :- ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঘর। বাকেরগঞ্জ উপজেলায় প্রথম ধাপ থেকে চতুর্থ ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য ২ শতাংশ খাস জমিতে দুই কক্ষের সেমি পাকা একক গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ৫৪৩টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনেকে ঘর বরাদ্দ পেয়েও সেখানে থাকছেন না। তাদের মধ্যে অনেকের অন্যত্র বাড়ি থাকায় উপহারের ঘরে এখন তালা ঝুলছে। উপজেলায় ১৪ ইউনিয়নে শতাধিক তালা ঝুলানো ঘর দেখা গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় ঘরগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনেকে আবার এই উপজেলার বাসিন্দা না হয়েও জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নগদ টাকার বিনিময়ে ঘর পেয়েছেন। তাই প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন অনেকেই ঘর পাননি। ফলে বেশিরভাগ সুবিধাভোগী বরাদ্দ পাওয়া ঘর এখন অন্য কাজে ব্যবহার করছেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়নে গেলে দেখা যায়, চতুর্থ ধাপে রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ধাওকাঠি গ্রামে ৩৯টি আশ্রয়ণের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এক বছর আগেই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে ৩ নং ঘরসহ ৬, ৭, ১৩, ১৯, ২১, ৩৬, ৩৯ এই আটটি ঘরে হস্তান্তরের পর থেকেই কেউ বসবাস করছেন না। একই চিত্র দেখা গেছে নিয়ামতি ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামে ৪৫টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের মধ্যে ১৫টি ঘরে।
ফরিদপুর ইউনিয়নের বাহেরচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরেই তালা ঝুলছে। ১৪ ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে শতাধিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে এখন তালা ঝুলছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীরা জানান, তালাবদ্ধ করে অনেক লোকজনই চলে গেছেন। তাদের কেউ থাকেন নিজ বাড়িতে, কেউ থাকেন ঢাকায়। বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মিটিংয়ে আলোচনা করেছি। যারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েও থাকছেন না তাদের বরাদ্দ বাতিল করে যারা গৃহহীন রয়েছে তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।