নজরুল ইসলাম আলীম:- বাকেরগঞ্জের থানা পুলিশের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসার আড়ালে ফিল্মি কায়দায় চলছে পাদ্রীশিবপুরের ইয়াবা ব্যবসায়ী দ্বীনইসলামের রমরমা মাদক বিক্রির দৌরাত্ম্য যেন কিছুতেই কামানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ খোদ স্থানীয় এলাকাবাসীর সবার।চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেখানে জিরো টলারেন্স সেখানে এই মাদক ব্যবসায়ী প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের কানকি বাজার নামক এলাকার মৃত আলকাস আলী হাওলাদারের পুত্র দ্বীনইসলাম ওরফে ইয়াবা দিনু তার নিকট আত্মীয়-স্বজন সহ যোগী বেশ কিছু মাদক কারবারীরা দিনে -দুপুরে অবাধে অবৈধ মাদক বিক্রি করে আসছে। যা এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই মাদক ব্যবসায়ী হত্যার সহযোগীরা ।নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, যেখানে মাদক ব্যবসার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক মাদক বিরোধী অভিযানের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং সেখানে চলমান এ কারণে অনেক এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের ভয়ে আত্মগোপনে রয়েছে বলের সূত্র জানায়।
কিন্তু বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের কানকি বাজারের মাদক ব্যবসায়ী দ্বীনইসলাম দেশের চলমান মাদক বিরোধী অভিযান ও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বীরদর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।স্থানীয়সূত্রে জানায়,মাদকের এই গডফাদার দ্বীনইসলাম বাকেরগঞ্জ এলাকার বড় ইয়াবা ডিলার হিসেবে পরিচিত লাভ করে তার এই রমরমা ইয়াবা ব্যবসায় তার নিকট আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকার একাধিক ব্যাক্তি জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে সেখানকার মাদক ব্যবসায়ীরা ওই এলাকাসহ বাকেরগঞ্জ এলাকার বিভিন্নস্থানে মাদক সরবরাহ করছে।অত্যন্ত শান্তশিষ্ট এই মাদক ব্যবসায়ী উপজেলার বিভিন্নস্থানে মাদকের সেল্টার দাতা হিসেবে চিহ্নিত এমনটাই অভিযোগ খোদ এলাকাবাসীর।এ প্রসঙ্গে এলাকার স্থানীয় সোহাগ হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি বলেন,মাদক এই রাষ্ট্র ও সমাজকে মারাত্মক একটি ব্যাধি।অপরদিকে স্থানীয় শামীম হাওলাদার জানান,
দ্বীনইসলাম আসলেই একজন প্রকৃত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে বাকিরগঞ্জ উপজেলার অঞ্চল সহ এবং তার পার্শ্ববর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলায়ও মরণ নেশা নামক ইয়াবা পাইকারী বিক্রয় করে আসছেন।সে এলাকায় ফিল্মি কায়দায় বিভিন্ন ছদ্মবেশে এই মাদক ব্যবসা করে আসতেছে।মাদক ব্যবসা করেই তিনি অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছেন।তাছাড়া ও তার রয়েছে এলাকায় একটি ২৫/৩০ জনের একটি সঙ্গবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীর দল।তাদের দ্বারা বাকরিগঞ্জ উপজেলা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইয়াবা সাপ্লাই দেওয়ায়। কুখ্যাত এই মাদক ব্যবসায়ী আমি শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিকবার গ্রেফপ্তার হলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে এসে পুনরায় জড়িয়ে পরেন মাদক ব্যবসার সাথে।বর্তমান যুব সমাজকে রক্ষা করার জন্য এলাকাবাসীর সুশীল সমাজ বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার,র্যাব সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মাইনুল হাওলাদার জানান,যারা মাদক ব্যবসা করছে তারা অনেক শক্তিশালী কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ছেলে -মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। তাই তিনি স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।এ বিষয়ে,বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,মাদকের ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশ সর্বদা জিরো টলারেন্স। আমি এ থানায় মাত্র ৭ মাস হলো যোগদান করেছি এবং যোগদানের পর থেকে একের পর এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।বাকিদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো জানান,মাদক ব্যবসায়ীরা যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে আমার জিহাদী অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।যে যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও তিনি জানান।