ঢাকা ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

বাকলিয়ায় ১৫ যুবদলের কর্মীকে যুবলীগ সাজিয়ে হত্যা মামলা

  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৩০৩৮ বার পড়া হয়েছে

 

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ার কালামিয়া বাজারের লতিফের হাট এলাকায় ৫ আগষ্ট মোহাম্মদ সাকিব (১৮) নামের এক তরুণ খুনের ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ সাজিয়ে ১৫ যুবদলের কর্মীকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডটির আসল রহস্য আড়াল করা হচ্ছে। এতে নিরাপরাধ ১৫ জন যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ১৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাকলিয়া লতিফের হাট এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিএনপি নেতারা এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আনিস।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫ আগষ্ট রাতে বাকলিয়া থানাধীন হাটখোলা এলাকায় মোহাম্মদ সাকিব (১৮) নামের এক তরুণ নিহত হন। সে কোটা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার দুই ভাই মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এলাকায় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নানা অপরাধের সঙ্গেও তারা জড়িত। কোটা বিরোধী আন্দোলনে তারা দুইজনের নেতৃত্বে বহদ্দরহাট, নতুন ব্রিজ এবং মুরাদপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। তাদের ভাই মোহাম্মদ সাকিব মূলত কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আওয়ামীলীগ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে ছিল। নিহত মোহাম্মদ সাকিব ছাত্রদের পক্ষে আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় আওয়ামী লীগ,যুবলী[গ ও ছাত্রলীগের কতিপয় দুর্বৃত্তের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় ২১ আগষ্ট মোহাম্মদ সাকিবের মা ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে স্থানীয় যুবদলের কর্মী মোহাম্মদ করিম (৩৫), মোঃ তৈয়ৰ (৪), মহিউদ্দিন (৪৮), মোহাম্মদ মানিক (৩০), ইকবাল হোসেন (৩২), মোঃ হেলাল (৩৫), মোঃ ইমু (২৮), মোঃ ফাহিম (৩০, মোঃ রহিম (৩৯), মোঃ মুনমুর (৪২), মোঃ নাঈম (২৭), মিনহাজ বিন হোসেন (২৫),ও মোঃ মঞ্জুকে (৩৮) আসামি করে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, কোটা বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত মোহাম্মদ সাকিব খুন হলেও তার দুই বড়ভাই যুবলীগ নেতা ও সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্থানীয় যুবদলের কর্মীদের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন এবং হয়রানিমূলকভাবে যাদের আসামি করা হয়েছে তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ শফি, সাবেক বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন প্রমূখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

বাকলিয়ায় ১৫ যুবদলের কর্মীকে যুবলীগ সাজিয়ে হত্যা মামলা

আপডেট সময় : ০৫:৫০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ার কালামিয়া বাজারের লতিফের হাট এলাকায় ৫ আগষ্ট মোহাম্মদ সাকিব (১৮) নামের এক তরুণ খুনের ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ সাজিয়ে ১৫ যুবদলের কর্মীকে আসামি করার অভিযোগ উঠেছে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডটির আসল রহস্য আড়াল করা হচ্ছে। এতে নিরাপরাধ ১৫ জন যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ১৮ নং ওয়ার্ডের পূর্ব বাকলিয়া লতিফের হাট এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিএনপি নেতারা এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আনিস।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৫ আগষ্ট রাতে বাকলিয়া থানাধীন হাটখোলা এলাকায় মোহাম্মদ সাকিব (১৮) নামের এক তরুণ নিহত হন। সে কোটা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার দুই ভাই মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এলাকায় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, নানা অপরাধের সঙ্গেও তারা জড়িত। কোটা বিরোধী আন্দোলনে তারা দুইজনের নেতৃত্বে বহদ্দরহাট, নতুন ব্রিজ এবং মুরাদপুরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনাও ঘটেছে। তাদের ভাই মোহাম্মদ সাকিব মূলত কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, আওয়ামীলীগ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে ছিল। নিহত মোহাম্মদ সাকিব ছাত্রদের পক্ষে আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় আওয়ামী লীগ,যুবলী[গ ও ছাত্রলীগের কতিপয় দুর্বৃত্তের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় ২১ আগষ্ট মোহাম্মদ সাকিবের মা ফিরোজা বেগম বাদি হয়ে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে স্থানীয় যুবদলের কর্মী মোহাম্মদ করিম (৩৫), মোঃ তৈয়ৰ (৪), মহিউদ্দিন (৪৮), মোহাম্মদ মানিক (৩০), ইকবাল হোসেন (৩২), মোঃ হেলাল (৩৫), মোঃ ইমু (২৮), মোঃ ফাহিম (৩০, মোঃ রহিম (৩৯), মোঃ মুনমুর (৪২), মোঃ নাঈম (২৭), মিনহাজ বিন হোসেন (২৫),ও মোঃ মঞ্জুকে (৩৮) আসামি করে।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, কোটা বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত মোহাম্মদ সাকিব খুন হলেও তার দুই বড়ভাই যুবলীগ নেতা ও সন্ত্রাসী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্থানীয় যুবদলের কর্মীদের মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন এবং হয়রানিমূলকভাবে যাদের আসামি করা হয়েছে তাদেরকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ শফি, সাবেক বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন প্রমূখ।