দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে টানা চতুর্থবার ও মোট পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কণ্য শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন সোসাইটি (জামুকা নিবন্ধন নং-১৬৩/২০১৩)। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সংগঠনের পক্ষে সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আহসান উদ্দিন খাঁন এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই অভিনন্দন জানিয়েছেন। আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হাসানুল আলম মিথুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন,” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আর তাঁরই সুযোগ্য কণ্যা এই দেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত করেছেন। তাঁর বিচক্ষণতা, সাহসিকতা ও ঐকান্তি প্রচেষ্টায় দেশ আজ তলাবিহীন ঝুড়ির বদনাম কাটিয়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আমরা শীঘ্রই একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবো।
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, এবারের জাতীয় নির্বাচনটি অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে অবাদ ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে। কয়েকটি দল নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় ভোটার উপস্থিতি একটু কম হলেও বড় ধরণের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ও বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই জনসাধারণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। ছোটখাট ঘটনার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। বড় কোন কাজ করতে গেলে টুকিটাকি ভুল থাকতে পারে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু রাজনৈতিক সংকটকালেও নির্বাচন কমিশন এত সুন্দর উৎসবমূখর একটি নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে চট্টগ্রামের ২ জন রিটার্নিং অফিসার বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানাই নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য। তাদের এই বিচক্ষণতাকে চট্টগ্রামবাসী মনে রাখবে আজীবন।
বিবৃতিতে বলেন, ” বিগত সময়েও চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে, এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চট্টগ্রামের ক্লিন ইমেজের ২ কৃতি সন্তান ড. হাসান মাহমুদকে পররাষ্ট্র ও ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরীকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার চট্টগ্রামের উন্নয়ন আরো বেগবান হবে বলে আমরা আশা করছি। ২০৩০ সালে বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র বিমোচন ও ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে মানীয়র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চলমান কার্যক্রমকে সহায়তা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। দেশকে কোনভাবেই অস্থিতিশীল করা যাবেনা। তাই সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরা শান্তি ও উন্নয়নে বিশ্বাসী। কোন অপশক্তিই যেন আমাদের এই শান্তি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করব। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ মা বোনের বিসর্জিত সম্ভ্রম কিছুতেই বিফলে যেতে পারেনা। শত্রুপক্ষ সবসময় সুযোগ খুজবে তাই আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে সংগঠিতভাবে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাঁর যে দিকনির্দেশনা তা মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।”