নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফিকামলি তত্ত্বের জনক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ড. আবদুল ওয়াদুদ এর সম্পাদিত বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বার্তা সম্বলিত লিফলেট দেশব্যাপী বিতরণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জনমত গঠনে এ লিফলেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্টজনেরা। একদল তরুণ সাইবার যোদ্ধার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান ড. ওয়াদুদ। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের জবাব দিতে ও বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে তার এ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। এ লিফলেট ইতিমধ্যে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশীয় ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের থেকে সতর্ক থাকার জন্য এবং জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি প্রত্যাখান করার জন্য তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন। লিফলেটে আওয়ামী লীগ সরকারের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কিছু তথ্য দেয়া হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোট সরকারের কিছু তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে । দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। লিফলেটে তার আহ্বানটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
দেশপ্রেমিক জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান-
জাতি গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ করছে যে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, বিএনপির নের্তৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ততই পূর্বের চেহারায় আবির্ভূত হচ্ছে। সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও অগ্নিসংযোগের মতো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। শ্রীলংকা দেউলিয়া ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতি বিনষ্ট করার জন্য বিএনপি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী মাঠ ঘোলাটে করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
একসময় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় উত্তরণের প্রয়োজনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলেও পরবর্তীতে আদালতের রায়ের মাধ্যমে এটি নাকচ হয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাটাই অগণতান্ত্রিক ও আমাদের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। আমাদের সংবিধান অনুযায়ি দেশ পরিচালনার নেতৃবৃন্দ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে। গ্রামের সালিশ বৈঠকে সদস্য নির্বাচনের মত একটি পদ্ধতি তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ফলে সরকারের পক্ষে যতা পুনরায় ফিরিয়ে আনার কোনো যৌক্তিক কারণ নাই।
ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে পেছনের দরজা দিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসার নিষ্ফল চেষ্টা করছে। সে লক্ষ্যেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী বিএনপি-জামাত চক্র নির্লজ্জের মত বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের আস্থাহীনতা ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিয়ে ক্রমাগত দেশের স্বার্থ ও সুনাম ক্ষুণ্ন করে চলেছে। হীন উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহল বর্তমান উন্নয়নমুখী ও গণমুখী আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করছে। সরকারের সৃষ্ট কোনো কৃত্রিম সংকট জনগণকে মোকাবিলা করতে হয়নি।
কোভিড ও কোভিড পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা বিদ্যুৎ, জ্বালানির সাময়িক সংকটে পড়েছিলাম সত্য, কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শী নেতৃত্ব দিয়ে তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই, যথেষ্ট পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে, জ্বালানি ও বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি নেই। বৈশ্বিক বাণিজ্যের অস্বাভাবিক অবস্থা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সৃষ্ট ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্যমূল্য এখন সহনীয় পর্যায়েই রয়েছে। বিএনপি যেসব অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে এবং সংকটের কথা বলছে বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই; এগুলো সবই মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে কান দিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশপ্রেমিক জনগণকে উদাত্ত আহ্বান জানাই। সকল সংকট মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দীপ্ত পদে এগিয়ে চলছেন।
দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান-
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে এগিয়ে আসুন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সকল অপশক্তিকে বর্জন করতে আসুন আমরা সবাই একতাবদ্ধ হই এবং এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই।
বন্ধ হোক জ্বালাও-পোড়াও, সন্ত্রাস, মৌলবাদ আর জঙ্গিবাদ। রাজনীতি হোক সুস্থ ধারার আদর্শ আর জন মনন চর্চার পাদপীঠ।
শুভেচ্ছান্তে,ড. আব্দুল ওয়াদুদ
ফিকামলি তত্ত্বের জনক
মৃত্যুঞ্জয়ী সাবেক ছাত্রলীগ ও সংগ্রাম পরিষদ নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, ক্রীড়া সংগঠক
ফিজিক্যাল ফিটনেস ও ওয়াইল্ড লাইফ বিশেষজ্ঞ,প্রেসিডিয়াম সদস্য,বঙ্গবন্ধু পরিষদ
প্রধান পৃষ্ঠপোষক,বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতি,প্রেসিডেন্ট,ওয়ার্ল্ড ফুটবলার্স ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ,বাংলাদেশ ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন এন্ড রিয়ারিং এসোসিয়েশন,সভাপতি,শহীদ সেলিম-দেলোয়ার স্মৃতি পরিষদ।