
বরিশাল প্রতিনিধি :-বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের বহিষ্কৃত নিকাহ্ রেজিস্ট্রার শফিউল বাশার কে ৮ অক্টোবর প্রতারণার মামলায় জেল হাজতে প্রেরন করেছে আদালত।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাজী শফিউল বাশার পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড টিএনটি রোর্ডের পাশে সাইনবোর্ড টানিয়ে নিকাহ করা হয়, এমন সাইনবোর্ড দেখা যায়। বিগত ৮-০৫-২০২৩ ইং কাজী শফিউল বশার দাওকাঠী গ্রামের নাসির উদ্দিন মুন্সির কন্যা সাবিনা আক্তার কে একয়ই গ্রামে জাহিদ খানের সাথে দাওকাঠী মীরের হাট সংলগ্ন মসজিদে বসে উপস্হিত সাক্ষীদের সাক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরে কাবিন নামা করা হয়। বিবাহ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ছেলে পক্ষের কথা মতো কনে পক্ষে বাড়ি চলে যায়। বিবাহ অনুযায়ী স্বামী স্ত্রী দীর্ঘ ১ বছরের ঘর সংসার করিলে তাদের সংসারে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পূর্ব মুহুর্ত্বে ১১-১২-২০২৪ তারিখ কাজী শফিউল বাশারের কাছে বিবাহ হওয়ার কাবিন নামা কনে পক্ষের ভাই জাহিদ মুন্সি আনতে গেলে,শফিউল বাশার কাবিন নামা দেয়, কাবিন নামায় দেখা যায় ১ লক্ষ টাকা দেনমোহরের ৫০ হাজার টাকা ওশাল ও বাকী ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেখানো হয়। কনের পক্ষের দাবী কাজী শফিউল বাশার ছেলে পক্ষের সাথে আতআত করে ঘুষের বিনীময় কনে পক্ষের সাথে প্রতারণা করে, ১ লক্ষ টাকা কাবিনের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে কাবিনে উল্লেখ করেন।
এমন ঘটনার প্রেক্ষাপটে কনে সাবিনা আক্তারের ভাই জাহিদ মুন্সি বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন,যাহার মামলা নাম্বার, ১০ অত্র মামলাটি বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তার দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য দিলে, তদন্ত কর্মকর্তা নিকাহ জেলা রেজিস্ট্রার ও আইন মন্ত্রণালয় স্বাক্ষরিত ১-০২-২৪ তারিখের একটি স্বারক নামায় লাইসেন্স বাতিল করা হয়। তদন্তে প্রতারণার অভিযোগটি সত্যতা নিশ্চিত হলে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করে। আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করলে কাজী শফিউল বাশার কে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
কাজী শফিউল বাশারের প্রতারণার স্বীকার অত্র ইউনিয়নের বহু মানুষ। এমনকি ভুয়া কাজী শফিউল বাশার বিয়ে করাতে গিয়ে বহু নারীকে নিজেই বিয়ে করেন। তার প্রতারণায় অতিষ্ট রঙ্গশ্রী নয় সমগ্র বাকেরগঞ্জ বাসী। জানা যায় ভুয়া সাইনবোর্ড টানিয়ে বাকেরগঞ্জ পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডে সাইনবোর্ড টানিয়ে প্রতারণা রমরমা ব্যবসা করেন। তার অফিসটি বিভিন্ন দালালদের দ্বারা পরিচালিত, এই দালাল চক্র বিবাহ বিচ্ছেদ, মামলা মোকদ্দমা দায়ের করে সাধরন মানুষকে হয়রানি করে।