হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাকস্থলীতে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ একযাত্রীকে আটক করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। গতকাল সন্ধ্যায় তাকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকেগ্রেপ্তার করা হয়। কক্সবাজার থেকে একটি ফ্লাইটে করে তিনি ঢাকায় অবতনের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, যাত্রী মো: জাহেদ হোসেন (২৫) গতকাল সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে এ ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বিএস১৫৬ যোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিকবিমানবন্দরে অবতরন করেন। এসময় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে সাদা পোশাকে দায়িত্বরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নেরগোয়েন্দা দলের যাত্রী জাহিদকে সন্দেহ হলে তাকে আটক করা হয়।
এরপর যাত্রীকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন যে তিনি পাকস্থলীতে ইয়াবাবহন করছেন এবং এর সম্ভাব্য পরিমান ৩৫০০ পিস। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পাওয়ার পর এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্যএয়ারপোর্ট এপিবিএন যাত্রীকে উত্তরার হলিল্যাব ডায়গনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় এবং এক্সরে পরীক্ষা করা হয়। এক্সরে পরীক্ষায়এবং ডাক্তারের রিপোর্টে মো: জাহিদের পাকস্থলীতে ছোট ছোট প্যাকেট করা প্রায় ৭২ টি প্যাকেটের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
ইয়াবার অস্তিত্ব নিশ্চিত হবার পর বিমানবন্দর থানার সহযোগিতায় যাত্রীকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তিকরা হয় এবং ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে তার পেট থেকে মোট ৭২ টি ইয়াবা প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। গননা শেষে সেখানে ৩৫১৮পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
যাত্রী মো: জাহিদ হোসেন (২৫) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা, তার পিতার নাম মো: আ: গফুর।জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান প্রতি ১০০০ পিস ইয়াবা বহনের জন্য তিনি ১০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। এই চালান পৌঁছে দিতেপারলে তিনি প্রায় ৪০ হাজার টাকা পেতেন।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরো জানান যে, এর আগেও উক্তযাত্রীকে ২৬ মে ২০২৩ তারিখে বিমানবন্দরের সামনে থেকে ইয়াবা সহ গ্রেপ্তার করে মামলা দেয়া হয়। সেই মামলায় ১০ দিন আগেজামিন পেয়েই তিনি আবারো একই কাজ করতে গিয়ে গতকাল গ্রেপ্তার হন।যাত্রী মো: জাহিদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায়আইনগত ব্যবস্থা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।