মোঃ জামাল হোসেন :- এখন বর্ষাকাল অতি বৃষ্টিতে ভরে যাচ্ছে পুকুর জলাশয় খাল ও নদী রোগ-জীবাণু থেকে দূরে থাকতে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে আশেপাশের পরিবেশকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার বিকল্প নেই। বিপজ্জনক রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু যে কোনো জায়গায় বাস করতে পারে।এ ছাড়া ৩ দিনের বেশি জমা থাকা পরিষ্কার স্বচ্ছ পানিতে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ সৃষ্টিকারী মশাও জন্ম নেয়।তাই নিজেকে ও পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বর্ষা মৌসুমে সাধারণ মশা ও এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যার ফলে ডেঙ্গু জ্বর ও চিকুনগুনিয়া রোগ ছড়ায় এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ও ড্রেনের মধ্যে আবর্জনা ফেলা যাবে না। ফেললে এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মশার বংশ বিস্তার করে। এছাড়া দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট হয়। ড্রেনের সঙ্গে সেপটিক ট্যাঙ্কের সংযোগ দেয়া যাবে না, সংযোগ থাকলে তা অবিলম্বে বিচ্ছিন্ন করতে হবে।
আপনার প্রিয় শিশুটি আপনার অজান্তেই চলে যাবে এসব পানির নিকটে। বেড়ে যাচ্ছে সাপের উপদ্রব মাঝেমধ্যে পাগলা কুকুরের কামরের কথাও শোনা যায়। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। যে জাতীয় পাত্রে পানি আটকে থাকে যেমন ফুলের টব, নারিকেলের খোসা,তালের খোসা ইত্যাদি। এ জাতীয় জিনিসের জন্য পানি আটকে থাকতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া।পচা ও নোংরা পানি থেকে সৃষ্টি হয় ডেঙ্গু মশা। ফলে ঘটে যেতে পারে যে কোন দূর্ঘটনা। মনে রাখবেন একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। তাই শিশুদের প্রতি সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখা। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা নিজ নিজ থেকে সবাই সচেতন হলে আমাদের পরিবেশ সুন্দর রাখা সম্ভব।কেননা প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা সবাই সচেতন হই সুন্দর মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
চেয়ারম্যানঃ-আব্দুর রহিম খান,
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো : মাসুদ রানা
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ঢাকার বার্তা ২৪