মোঃ রাসেল হুসাইন নড়াইল:- নড়াইল সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের রায়খালী গ্রামের মৃত ইব্রাহীম মোল্লা ছেলে হাবিবর মোল্লা এবং তার ছেলে আলম মোল্লার বিরুদ্ধে বিক্রিত বসতভিটা দখল বুঝে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিক্রির ১ মাস পরে দখল বুঝে দেওয়ার কথা ছিল , অথচ ৫ বছর হতে চললেও বসতভিটার দখল ছাড়েন নি প্রভাবশালী হাবিবর এবং তার ছেলে আলম মোল্লা। ভুক্তভোগী বালিয়াডাডাঙ্গা গ্রামের তাইজুল ইসলামের স্ত্রী নারগিস বেগম ও তার কন্যা শারমিন আক্তার ক্রয় করা জমি নিজেদের নামে নামপত্তন করে সরকারি করখাজনা পরিশোধ করেও দখল বুঝে পেতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার শালিসে অঙ্গীকার করেও দখল ছাড়েননি হাবিবর এবং তার ছেলে আলম মোল্লা ।
২৮ জুন (শুক্রবার) সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে ভুক্তভোগীরা জানায়, বিগত ২০১৯ সালে রায়খালী গ্রামের হাবিবর মোল্লার নিকট থেকে বসবাসের জন্য বসতবাড়ি সহ ২৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে নামপত্তন সম্পন্ন করেন। জমি ক্রয়ের ১ মাস পরে নারগিস বেগমের কাছে জমি হস্তান্তর করার কথা থাকলেও ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও হাবিবর জমি না ছেড়ে নারগিস বেগম ও তার পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে ওই হাবিবর এবং তার ছেলে আলম মোল্লা। এই জমি নিয়ে একাধিক বার শালিশ মিটিং হলেও নারগিস বেগমের পরিবার কোনো সমাধান পায়নি।
এদিকে চলতি বছরের ৪ এপ্রিল অভিযুক্ত হাবিবর এর স্বাক্ষরিত একটি অঙ্গীকার পত্রে দেখা যায়, বিগত চার বৎসর পূর্বে সে যে বাস্তভিটা বিক্রি করেছে তা ২৮ এপ্রিলের মধ্যে ভেঙ্গে জায়গা পরিস্কার করে দিবেন।
অন্যথায় স্থানীয় মানুষ ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দিলে তার কোন আপত্তি থাকিবে না, এবং কোন আইনগত ব্যাবস্থা নিবেন না। অঙ্গীকারের ২ মাস অতিবাহিত হলেও কার্যকর করেনি হাবিবর। প্রভাবশালী হওয়ার এলাকার মানুষ ও নিতে পারছেনা কোন পদক্ষেপ। দিশেহারা পরিবারটি উচিৎ টাকায় কেনা বসতভিটার দখল পেতে প্রশানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।