মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:- নওগাঁর পোরশায় বিকাশ বাণিফাস বারোয়া (৩৩) নামের এক শিক্ষককে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ৩ নং ছাওড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়ে বুধবার রাতে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন। আহত শিক্ষক উপজেলার দানিপুকুর সাধু পৌল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ভৌত বিজ্ঞান) ও উপজেলার মশাবই গ্রামের মহেন্দ্র বারোয়ারের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষকের ছেলে শিবপুর কেজি স্কুলে লেখাপড়া করে। দীর্ঘদিনের জমির বিরোধের জের ধরে গত ৩০ জুন রোববার দুপুর ১ টার দিকে তার সন্তানকে নিতে আসার সময় কুশারপাড়া মোড়ে হঠাৎ করে ছাওড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, মো. সেলিম, মো. হাপিনুর রহমান এবং ওই ইউপির ৪ ও ৬ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিলে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে রুমের মধ্যে আটকিয়ে রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট করে। এরপর আমার স্বজনরা আমাকে উদ্ধার করে পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়।
দানিপুকুর সাধু পৌল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিকাশ বাণিফাস বারোয়া বলেন, দীর্ঘদিনের জমির বিরোধের জের ধরে চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যান মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, মেম্বার হাবিবুর রহমান ও মেম্বার আব্দুস সেলিমসহ অন্যরা চৌকির উপরে শোয়াইয়া চেয়ারম্যান নিজে চৌকিদারের লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান, এভাবে হাবিবুর মেম্বার সেলিম মেম্বার আমাকে চোরের মত পেটান। তারপর আমার স্বজনরা আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে সেখানে আমি চিকিৎসা নিই। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
ছাওড় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমানের মেবাইল ফোনে ফোন করিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চেয়ারম্যানঃ-আব্দুর রহিম খান,
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো : মাসুদ রানা
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ঢাকার বার্তা ২৪