ফেরদৌসী রুবী
শেখ হাসিনার সরকার ,
বারবার দরকার।
বর্তমান সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপরিসীম দূরদর্শিতায় উন্নয়নের অগ্রযাত্রার মাইলফলক একটু দেখে নেয়া যাক।
প্রথমেই বলতে হবে একটি সুশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করার জন্য শিক্ষাবান্ধব সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বের তুলনায় বর্তমানে বহুগুনে এগিয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীরা পেয়েছে উন্নত শিক্ষায় বহু ধরনের সুবিধা সেই সাথে শিক্ষকরাও পেয়েছে তাদের প্রাপ্য সম্মান।
স্বাধীন এই দেশ গড়তে যাদের অবদানের কথা ভুলে যাওয়ার নয় তাদের স্মৃতিস্বরূপ সকল মুক্তিযোদ্ধার কবরকে দৃষ্টিনন্দন পাকা নির্মাণ।যেন আগামী প্রজন্ম দেখলেই বলতে পারে এটি একটি মুক্তিযোদ্ধার কবর। অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাকে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বসবাসের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা সম্মানজনকভাবে বাড়িয়ে উন্নীত করেছেন।
নারী উন্নয়নের কথা বলতে গেলে অপরিসীম ভূমিকার অধিকারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নারী আইনের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন, নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন, জোর দিয়েছেন নারী শিক্ষার দিকে,নারী অধিকার,নারী শিক্ষা,নারীর কর্মসংস্থান সকল কিছু মিলেই গত কদিন আগেই উদ্বোধন করলেন জয়িতা।
বয়স্ক মানুষদেরকে নিয়ে সুন্দর সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন বয়স্কদের সম্মানী ভাতা বিধবা নারীদেরকে যাদের দেখার মত কেউ নেই তাদেরকে দিচ্ছেন বিধবা ভাতা গ্রামীণ পর্যায়ে যারা অনেক দুস্থ এবং অসহায় তাদেরকে দিয়েছেন মাসিক একটি কার্ড যার মাধ্যমে সহজ ভাবেই তাদের মাসিক বাজার গুলো পেয়ে যাচ্ছেন।সেই সাথে হাজার হাজার পরিবার যাদের মাথা গুজার ঠাঁই ছিলো না, তারা পেয়েছে ভূমিসহ গৃহ উপহার।
অতীতের সরকারের কথা সকলের জানা রয়েছে, এই বাংলাদেশে কি হয়েছে, কি ঘটেছে, কতটুকুই বা উন্নত হয়েছে!
কত মানুষ কষ্টের সাথে দুর্বিসসহ জীবন যাপন করেছিল।
আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর এই ১৫ বছরে উল্লেখযোগ্য হারে উন্নয়ন হয়েছে বাংলাদেশের।
আজকে একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সবাইকে এ উন্নয়ন গুলো আঙ্গুল উঁচু করে না দেখালেই নয়।
প্রথম যে চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ নিয়েছিল তা হলো নিজস্ব অর্থায়নে দক্ষিণবঙ্গের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম পদ্মা সেতু করে জানান দিয়েছিল যে আমরা বাঙালি জাতি কারো কাছে মাথা নত করে না। আমরা স্বনির্ভর বাংলাদেশ করতে পারি।
অবশ্যই তাদের দেখা উচিত, অতীতের একক সড়কের কারণে দুর্ঘটনার হার কত বেশি ছিল। শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছরে কত মানুষ মৃত্যুবরণ করছে সেই মৃত্যুর মিছিলকে থামিয়ে দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে চারলেন সড়ক হয়েছে কমেছে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল।
জ্যাম জটের কারণে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হওয়াটা কমিয়ে দিয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ফ্লাইওভার নির্মাণের মাধ্যমে। উন্নত করেছে রেল যোগাযোগ, বর্তমানে সিলেট থেকে কক্সবাজার, ঢাকা থেকে কক্সবাজার, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কক্সবাজার রুটে রেল চলাচল এবং রেললাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ডাবল করা হয়েছে, নতুনভাবে ও রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরীতে উল্লেখযোগ্য হারে উন্নয়ন হয়েছে,যেখানে রাত দশটা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত ট্রাক চলাচল ছিল সেখানে ২৪ ঘন্টায় এখন যাতায়াত করতে পারে সকল পণ্যবাহী গাড়ি। হয়েছে ঢাকা সিটিতে স্বপ্নের মেট্রোরেল, বেঁচে গেছে মানুষের খরচ ও সময়। হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যা বাঁচিয়ে নিবে মানুষের অনেক মূল্যবান সময়। হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল, যা বাঙালির স্বপ্ন ছিল।
উল্লেখযোগ্য হারে হয়েছে নৌপথ উন্নয়ন,
দিয়েছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, অতীতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর কথা এখনো সবার মনে আছে,সেই তুলনায় এখন কতটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের সফলতায় হয়েছে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, নতুনভাবে হয়েছে কয়েকটি গ্যাস খনি থেকে উত্তোলনের ব্যবস্থা।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের আরো একটি মাইলফলক হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
বর্তমান সরকার নারী এবং শিক্ষা অধিকারের গুরুত্ব দিয়েছে অপরিসীম ভূমিকায়, কেন চাইবো না এমন একটি সরকার? কার হাতে আমাদের দেশ নিরাপদ তা এখন আপনারাই খুঁজে নিতে পারবেন।
উন্নয়নের দ্বারাকে অব্যাহত রাখতে আমাদের সকলের মুখে হোক একটি স্লোগান
বারবার শত আঘাত পেয়েও ছাড়েনি দেশের হাল
চল সবে মিলে আবার নৌকায় তুলি পাল।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু,
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক
ফেরদৌসী রুবী ॥
চেয়ারম্যানঃ-আব্দুর রহিম খান,
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো : মাসুদ রানা
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ঢাকার বার্তা ২৪