দোহাজারীতে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ১ দশমিক ২৮ এক জমি উদ্ধার করেছে রেল। মাস্টারপ্ল্যানের আওতাভুক্ত করার কৌশলে সুযোগ করে দিতে এ অভিযান মনে করছেন এলাকাবাসী। জায়গাটিতে কাঁচাবাজারের মাসুল আদায় করে আসছিল বিগত ফেসিষ্ট সরকারের দোসরেরা এতে রেলওয়ে কতৃপক্ষ কোন রাজেশ্স্ব পেতনা !বৈষম্য বিরুধী আন্দেলনের পর মাসুল আদায়। বন্দ হওয়ায় জনমনে স্বস্তি পিরে আসে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যার নেতৃত্বে দোহাজারী রেলওয়ে মাঠের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা কালো বাজার অন্যত্রে বসার জন্য বল্লে কৃষকের রুষানালে পড়ে ডিও চলেযেতে বাধ্য হয়
দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানান, আমাদের কাছে তথ্য ছিলো রেলওয়ের মাস্টারপ্ল্যানভুক্ত ২০ নম্বর প্লটে ১ দশমিক ২৮ একর জমিতে অবৈধভাবে দোকান বা বাড়ি তৈরি করে বাসা ভাড়া দিয়ে আসছিলো দখলদাররা। শনিবারের উচ্ছেদ অভিযানে ২০টির মত টিনশেড ঘর ও দোকানঘর উচ্ছেদ করে ওই ১ দশমিক ২৮ একর জমি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত জমি পুনর্দখল প্রতিরোধে রক্ষণাবেক্ষণ করতে রেলের নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রকৌশল বিভাগ যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয় সে বিষয়ে চিঠি লিখবো।
অভিযানে সহকারী ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান, কানুনগো সোলায়মান হোসেন, দোহাজারী ষ্টেশন মাষ্টার ইলিয়াছ চৌধুরী, দোহাজারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক বিল্লাল হোসেন, উপপরিদর্শক সুজন শর্মা, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) উপপরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন সহ পুলিশের সদস্য ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তম দোহাজারী রেলওয়ে মাঠের পাইকারী সবজি বাজার স্থানীয় এলডিপি নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে উম্মুক্ত করা হয় গত ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর থেকে কৃষকরা বিনা হাসিলে তাদের সবজি বিক্রয় করতে পারেন ।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দোহাজারীর একটি চক্র বিনা ইজারায় কৃষকদের কাছ থেকে উচ্চ হারে হাসিল আদায় করে আসছে। এলডিপি নেতৃবৃন্দরা রেলওয়ে মাঠে উপস্থিত হয়ে কৃষকদের হাসিল ছাড়াই সবজি বিক্রির জন্য বলেন। অথচ দীর্ঘদিন দিন ধরে ওই চক্রটি এক টুকরি সবজি থেকেই অবৈধভাবে আদায় করছিল দেড়শ থেকে দুইশ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও বাজারে আনা সবজি মাপার জন্য বাধ্য করা হতো হাসিল আদায়কারীদের স্কেলেই। এতেও প্রতি কেজিতে আদায় করা হতো ২ টাকা। এভাবে দীর্ঘদিন দিন জুলুম চলছিল কৃষকদের সাথে।
মাসুল/খাস কালেকশনের আবেদন দেওয়া আদুল মান্নান জানান,
রেলওয়ে কতৃপক্ষ ইজারা বা মাসুল আদায় না করলেও ফেসিষ্ট সরকারের সন্ত্রাসী বাহীনীরা সাধারন কৃষক হতে ঠিকই মাসুল আদায় করে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা যার কোনো পরিমাণ রেলওয়ে কতৃপক্ষ পাইনি! আমরা যারা রেলওয়ে কে আগের মত মাসুল দিতে ইচ্ছুক কতৃপক্ষ আমাদের সাথে কোন কথা না বলে আওয়ামী দোসর নিয়ন্তীত নিলামের ফ্লট পাওয়া ব্যাক্তির সাতে আতাত করে উচ্ছেদের নামে বাজার ইজারার সুযোগ করেদিতে মরিয়া ডিও পুর্ব।