চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় কলঙ্কের তিলক এঁকে দিয়েছে। সারা বিশ্ব আজ সরকারকে বলছে একটি গ্রহন যোগ্য নির্বাচনের কথা। আওয়ামী সরকারের অধীনে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় তা বহিঃবিশ্বও জানে। আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করেছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বর্তমান সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন দেশের সাধারন মানুষ পেটে ক্ষুধার আগুন জ্বলবে। ওরা খাবার দিতে পারবে না। একসময় পরনের কাপড়ের অভাব হবে। জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আওয়ামী সিন্ডিকেট লুটেপুটে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। জনগনের সহ্যের সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে সরকার। দেশের মানুষকে মুক্ত করতে বিএনপি দশ দফা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে আন্দোলন করছে। জনগনকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্যদিয়ে এ দানবকে হটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
(সোমবার) ১০ এপ্রিল সকালে ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের য়ৌথ উদ্যোগে মাহে রমজান উপলক্ষে গরীব অসহায়দের মাঝে সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি দিদারুল ফেরদৌস ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এরশাদের উদ্যোগে ২০০ পারিবারের মাঝে সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরন করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার যতই সাহসীকতা দেখাক না কেন গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের কথা বললে ভয় পেয়ে যায়। উল্টা পাল্টা কথা বলতে থাকে, সংবিধানের দোহাই দেয়। তারা সেই সংবিধানের কথা বলে যা তারা নিজেদের অনুকূলে তৈরি করে নিয়েছে। এই সংবিধানে দেশে একটি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন হতে পারেনা। দেশের জনগনের চাওয়া অনুযায়ী সংবিধান পরিবর্তন করে তত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যথায় রাজপথেই চুড়ান্ত ফয়সালা হবে। দেশের মানুষ জেগে উঠেছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি দিদারুল ফেরদৌসের সভাপত্বি ও নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন এরশাদের পরিচালনা সেহেরী ও ইফতার সামগ্রী বিতরন কালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নুর সেলিম বাংগালী, তানভীর মল্লিক, দেলোয়ার বাবু, এসকান্দার, মিন্টু, ফখরুল হাসান রাজু, নাজিম সোহেল, মো. রিয়াদ, ইসমাইল বাবু, মো. হোসেন, মো. কাইয়ুম, মো. বশর, আলো, মুহিন ,সোহেল, আরাফাত, ইমরান প্রমূখ।