র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন অপরাধ অনিয়ম ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি,সরকারি হসপিটালে দালালদের দৌরত্ন্যেসহ বিভিন্ন অপরাধিদের আইনের আওতা আনতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর চিকিৎসা সেবায় দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সারাদেশ থেকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতালে আসেন রোগীরা। কিন্তু গ্রামের সাধারণ রোগীরা এ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এসে প্রথমেই দালালদের খপ্পরে পড়ে যান। এতে চিকিৎসা নেয়ার আগেই আর্থিক ক্ষতিসহ নানা হয়রানির শিকার হন রোগীর সঙ্গে আসা আত্নিয়স্বজনরা।এমনি অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হসপিটালের ২নং বাগান গেটে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান,সাম্প্রতি সময়ে আমরা জানতে পারি’যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগত রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানির মাধ্যমে অর্থ আদায় ঢাকা মেডিকেলে ভালো চিকিৎসা হয় না কমিশন লাভের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন ব্যয়বহুল বেসরকারী হাসপাতালে রোগী প্রেরণ করেন দালাল চক্রের সদস্যরা।অনেক সময় রোগিকে পরিচিত কোনো ক্লিনিকে পাঠিয়ে দেয় দালাল চক্রটি। এরপর ভাল চিকিৎসা না পেয়ে শেষ ভরসার স্থল আবারও আসতে হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।এসব কাহিনী শুনে হতভম্ব হয়ে দালাল চক্রের অবসান চান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাদের মতে, এহেন পরিস্থিতিতে দেশের স্বনামধন্য এ হাসপাতালটির কেবলই দূর্নাম হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন দেশের অন্য যে কোনো হাসপাতালে যেসব রোগের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না, সেসব রোগের চিকিৎসা সম্ভব হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এমনকি বিশেষায়িত হাসপাতালের রোগীদের অবস্থা যখন সঙ্কটাপন্ন, তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে যায় রোগী ও রোগীর স্বজনদের শেষ ভরসা। সারাদেশ থেকে আসা রোগীদের সব ধরনের রোগের চিকিৎসা সেবা দেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
বছরের ৩৬৫ দিন এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা সবার জন্য খোলা থাকে। সাধারণ জ্বর, সর্দি, কাশি হোক বা জটিল যে কোনো রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
‘শয্যা খালি নেই’ বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কোন রোগীকে পাঠানো হয় না অন্য কোনো হাসপাতালে। অনেকে অন্য হাসপাতাল ঘুরে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে শেষ আশ্রয় খুঁজেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দেশের সব হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাওয়া যায় সঠিক চিকিৎসা। এ ভরসায় সাধারণ রোগী থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও সামর্থবান রোগী ও রোগীর স্বজনেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের এ উদারতার বিপরীতে হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর স্বজনদের ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক অসাধু চক্র।এ চক্রের সদস্যদের প্রথম টার্গেট বা লক্ষ্য থাকে গ্রাম থেকে আসা নতুন রোগী ও মফস্বল শহর থেকে ঢাকায় আসা রোগীর স্বজন। তারা রোগী ও রোগীর স্বজনদের অজ্ঞতার সুযোগে ‘সঠিক পরামর্শদাতা হিসেবে পাশে দাঁড়ায়।
তারাই ধারাবাহিকতা র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গতরাত থেকে এই পযন্ত ৬০ জনের ও বেশী দালাল চক্রের সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ।