সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়ক ও বিভিন্ন বাড়িতে বেশকিছু ডাকাতির ঘটনা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলে র্যাব-৩ এই সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রদের গ্রেফতারে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা মহানগরীর ডেমরা থানাধীন বাশেরপুল এলাকায় কতিপয় ডাকাত দল কর্তৃক ডাকাতি প্রস্তুতিকালীন সময় ডাকাতির জন্য টার্গেটকৃত বাড়ির সামনে র্যাব-৩ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ৯ মে ২০২৩ ইং অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সর্দার মোঃ উজ্জল হোসেন তার অন্যতম সহযোগী মোঃ রাশেদ (৩৭) ঢাকাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতীরকৃত আসামীদের নিকট হতে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি বিদেশি বিভলবার, ৩ টি ককটেল, ১ টি ম্যাগাজিন, ২ রাউন্ড তাজা গুলি, ৬ রাউন্ড ব্ল্যাংক কার্তুজ, ১টি গুলির খালী খোসা, ১টি সুইচ গিয়ার, ০১টি চাপাতি, ০২টি হাতুড়ি, ১ টি প্লাস, ১টি কস্টেপ, ১টি টর্চ লাইট, ১টি স্ক্র ড্রাইভার, ১ টি হেস্কো বেøড, ২ টি গামছা, ইলেকট্রিক তার, রশি, ১ টি ব্যাগ এবং ২ টি মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য যে, উক্ত ডাকাত দলের ৫ জন সদস্যের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ৩ জন ডাকাত পলাতক রয়েছে। পলাতক ডাকাতদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৩ গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
দুপুরে কাওরানবাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃকর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন,ডাকাত দলের সর্দার মোঃ উজ্জল হোসেন পুরো দলটি পরিচালনা করে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে উজ্জল ডাকাতের নেতৃত্বে তার দলটি দীর্ঘদিন যাবৎ লুটপাট, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তার দলের মোট ১০ জন ডাকাত সদস্য রয়েছে। উক্ত দলটি রাজধানীর ডেমরা, শনিরআখড়া, যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বড় ধরনের ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বিগত ৫ মাসে নারায়ণগঞ্জসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ৭ টি ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
এছাড়াও উক্ত দলটি আরও ৮/১০ টি বড় ধরনের ডাকাতির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তার দলের অন্যান্য সহযোগীরা ডাকাতির জন্য বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি রেকী করত। ডাকাত সর্দার উজ্জল তার দলের অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকের ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াত এবং ডাকাতির জন্য রেকী পূর্বক বিভিন্ন বাড়ি টার্গেট করত। পরবর্তীতে তাদের রেকীর টার্গেট অনুযায়ী ধৃত উজ্জল উক্ত দলের অন্যান্য সহযোগীদের একত্র করে টার্গেটকৃত বাড়িগুলোতে ডাকাতির জান্য গোপনে প্রস্তুতি গ্রহণ করত। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী সময় সুযোগবুঝে টার্গেটকৃত বাড়িতে বিদেশি পিস্তল, বিদেশি রিভলবার, বিস্ফোরক সরঞ্জামাদি এবং বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সর্জিত হয়ে অতর্কিতে হামলা চালাত।গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।