ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ ১৪ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৩১৯৮ বার পড়া হয়েছে

 র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‍্যাব-৩)প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি ও ছিনতাই ও ট্রেনের টিকেট কালো বাজারী চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস বিশেষ আভিযানিক দল রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা মোঃ সেলিম (৫০) ও তার প্রধান সহযোগী মোঃ আনোয়ার হোসেন কাশেম (৬২) শ্রী অবনী সরকার সুমন (৩৫)মোঃ হারুন মিয়া (৬০)মোঃ মান্নান (৫০)মোঃ আনোয়ার হোসেন ডাবলু (৫০)মোঃ ফারুক (৬২)মোঃ শহীদুল ইসলাম বাবু (২২)মোঃ জুয়েল (২৩)মোঃ আব্দুর রহিম (৩২)উপরিউক্ত আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা উত্তম চন্দ্র দাস (৩০)এবং তার প্রধান সহযোগী মোঃ মোর্শিদ মিয়া জাকির (৪৫)আব্দুল আলী (২২)মোঃ জোবায়ের (২৫)ঢাকাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন সাংবাদিকদের জানান গ্রেফতারকৃতরা কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত উত্তমের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন যাবত মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপক‚ল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত সেলিম এবং উত্তম এর নেতৃত্বে তার সহযোগিরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমান যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিক্সাওয়ালা ও দিনমজুরদেরকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাড় করিয়ে টিকেট সংগ্রহ করে থাকে।

এই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে ০৪ টি করে টিকেট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেয়া হতো। এছাড়াও কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকেট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীদের টিকেট কাটার সময় প্রদেয় এনআইডি সংগ্রহ করে রাখে এবং পরবর্তীতে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দ্বারা ৪টি করে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করে থাকে।

এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক টিকেট সংগ্রহ করতো। অনেক ক্ষেত্রে টিকেট কাউন্টারে নিজেরা লাইনে দাড়িয়ে এবং কৌশলে লাইনে অপেক্ষমান টিকেট প্রত্যাশী সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ব্যবহার করে ৪টি টিকেট ক্রয় করে ৩টি টিকেট নিজেরা তার কাছ থেকে টাকা দিয়ে টিকেটগুলো কিনে নিতো।

তিনি আরো বলেন এছাড়াও ঈদ, পুজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতারকৃতরা রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী এবং অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ.কম এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম/আইটি এর সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডি এর তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করতো।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনসাধারণের বড় একটি অংশ নিরাপদ যাত্রার মাধ্যম হিসেবে ট্রেনে ভ্রমণ করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দুষ্কৃতিকারী ও টিকেট কালোবাজারি চক্রের দৌরাত্মে স্বস্তিকর রেলভ্রমনের টিকেট প্রাপ্তি অনেক সাধারণ জনগণের জন্য জন্য অস্বস্তি, চিন্তা ও ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের হতে উদ্ধার করা হয় ১২৪৪টি আসনের টিকেট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকেট বিক্রয়ের নগদ ২০,০০০/- টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের মূলহোতাসহ ১৪ জন’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

আপডেট সময় : ১২:৪৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

 র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‍্যাব-৩)প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মাদকবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি খুন, চাঁদাবাজি, চুরি, কিশোর গ্যাং, ডাকাতি ও ছিনতাই ও ট্রেনের টিকেট কালো বাজারী চক্রের সাথে জড়িত বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকস বিশেষ আভিযানিক দল রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা মোঃ সেলিম (৫০) ও তার প্রধান সহযোগী মোঃ আনোয়ার হোসেন কাশেম (৬২) শ্রী অবনী সরকার সুমন (৩৫)মোঃ হারুন মিয়া (৬০)মোঃ মান্নান (৫০)মোঃ আনোয়ার হোসেন ডাবলু (৫০)মোঃ ফারুক (৬২)মোঃ শহীদুল ইসলাম বাবু (২২)মোঃ জুয়েল (২৩)মোঃ আব্দুর রহিম (৩২)উপরিউক্ত আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা উত্তম চন্দ্র দাস (৩০)এবং তার প্রধান সহযোগী মোঃ মোর্শিদ মিয়া জাকির (৪৫)আব্দুল আলী (২২)মোঃ জোবায়ের (২৫)ঢাকাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন সাংবাদিকদের জানান গ্রেফতারকৃতরা কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তম সিন্ডিকেটের মূলহোতা গ্রেফতারকৃত উত্তমের নেতৃত্বে এই চক্রটি সংঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন যাবত মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপক‚ল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত সেলিম এবং উত্তম এর নেতৃত্বে তার সহযোগিরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমান যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশেপাশের এলাকার টোকাই, রিক্সাওয়ালা ও দিনমজুরদেরকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাড় করিয়ে টিকেট সংগ্রহ করে থাকে।

এই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে ০৪ টি করে টিকেট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেয়া হতো। এছাড়াও কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকেট বুকিং কর্মচারীদের দিয়ে বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীদের টিকেট কাটার সময় প্রদেয় এনআইডি সংগ্রহ করে রাখে এবং পরবর্তীতে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দ্বারা ৪টি করে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করে থাকে।

এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক টিকেট সংগ্রহ করতো। অনেক ক্ষেত্রে টিকেট কাউন্টারে নিজেরা লাইনে দাড়িয়ে এবং কৌশলে লাইনে অপেক্ষমান টিকেট প্রত্যাশী সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ব্যবহার করে ৪টি টিকেট ক্রয় করে ৩টি টিকেট নিজেরা তার কাছ থেকে টাকা দিয়ে টিকেটগুলো কিনে নিতো।

তিনি আরো বলেন এছাড়াও ঈদ, পুজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতারকৃতরা রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী এবং অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ.কম এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম/আইটি এর সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডি এর তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করতো।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনসাধারণের বড় একটি অংশ নিরাপদ যাত্রার মাধ্যম হিসেবে ট্রেনে ভ্রমণ করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু দুষ্কৃতিকারী ও টিকেট কালোবাজারি চক্রের দৌরাত্মে স্বস্তিকর রেলভ্রমনের টিকেট প্রাপ্তি অনেক সাধারণ জনগণের জন্য জন্য অস্বস্তি, চিন্তা ও ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের হতে উদ্ধার করা হয় ১২৪৪টি আসনের টিকেট, ১৪টি মোবাইল ফোন এবং টিকেট বিক্রয়ের নগদ ২০,০০০/- টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।