ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

ঝালকাঠিতে সরকারি খালে পরিবারিক সেতু নির্মান!

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • ৩০৭৭ বার পড়া হয়েছে

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামে সরকারি খালের উপর একটি পরিবারের স্বার্থে ব্যক্তি উদ্যোগে সেতু নির্মান করা হচ্ছে। ব্যক্তি অর্থে নির্মানাধীন সেতুটি অপরিকল্পিত হওয়ায় ভবিষ্যতের জন্য ঝুকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় অনেকে।

ঝুঁকিপুর্ন ও অপরিকল্পিত সেতু নির্মান বন্ধের জন্য স্থানীয় গ্রামবাসী রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকার দফতর (এলজিইডি) রাজাপুর উপজেলা শাখায় পৃথক দু’টি লিখিত আবেদনপত্র দাখিল করেছেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে চল্লিশকাহনিয়া গ্রামেন মো. দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মামুনুর রশীদ নোমানী লিখিত আবেদন পত্র দাখিল করেছে। তাতে লিখা রয়েছে যে, “অভ্যন্তরীণ জলপথ ও তীরভূমিতে স্থাপনাদি নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী নৌপথে সেতু নির্মাণ করতে হলে বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও রাজাপুরে সরকারি খালে আইন অমান্য করে এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রত্যায়ন ছাড়াই ব্যক্তি উদ্যোগে একটি সেতু নির্মান করা হচ্ছে। সেতুটি অ-পরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় ভবিষ্যতে সেতু ভেঙে প্রানহানীর আশংকাও রয়েছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত ভাবে সেতুটি নির্মান শেষে খালের পানি চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হবে। আটকে যাবে মাঝারী আকারের নৌযান চলাচল। ক্ষতি হবে প্রান্তিক কৃষকদের।”

অভিযোগকারী এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, “চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামের মৃত আতাহার আলীর পুত্র সাইদুল ও কামরুল দুই ভাই মিলে সেতুটি নির্মান করছে। সেতুটি নির্মান হলে সরকারি অর্থে খালটি খননের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। কমে যাবে খালের নাব্যতা।

ঝালকাঠি বারের সদস্য এ্যাডভোকেট মানিক আচার্য বলেন, এলজিইডি,পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ,পানি উন্নয়ন বোর্ড,পানি সম্পদ পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান (ডব্লিউ এ আর পি ও) পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া সরকারি খালে সেতু নির্মান সম্পুর্ন অবৈধ এবং একটি ফৌজধারী অপরাধ।

তবে সেতু নির্মানকারী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিজেদের টাকা দিয়ে নিজেদের খালে ব্রীজ বানাইতেছি করতেছি তাতে সরকারের ক্ষতির কোনো কারন দেখছিনা। তাই অনুমোদনের প্রয়োজন মনে করিনি’

এ ব্যাপারে এলজিইডির রাজাপুর উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার আবেদনের কথা স্বিকার করে বলেন, আমরা সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘আবেদন পেয়ে থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

ঝালকাঠিতে সরকারি খালে পরিবারিক সেতু নির্মান!

আপডেট সময় : ০১:৪৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামে সরকারি খালের উপর একটি পরিবারের স্বার্থে ব্যক্তি উদ্যোগে সেতু নির্মান করা হচ্ছে। ব্যক্তি অর্থে নির্মানাধীন সেতুটি অপরিকল্পিত হওয়ায় ভবিষ্যতের জন্য ঝুকি রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় অনেকে।

ঝুঁকিপুর্ন ও অপরিকল্পিত সেতু নির্মান বন্ধের জন্য স্থানীয় গ্রামবাসী রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকার দফতর (এলজিইডি) রাজাপুর উপজেলা শাখায় পৃথক দু’টি লিখিত আবেদনপত্র দাখিল করেছেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে চল্লিশকাহনিয়া গ্রামেন মো. দেলোয়ার হোসেনের পুত্র মামুনুর রশীদ নোমানী লিখিত আবেদন পত্র দাখিল করেছে। তাতে লিখা রয়েছে যে, “অভ্যন্তরীণ জলপথ ও তীরভূমিতে স্থাপনাদি নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা অনুযায়ী নৌপথে সেতু নির্মাণ করতে হলে বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও রাজাপুরে সরকারি খালে আইন অমান্য করে এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রত্যায়ন ছাড়াই ব্যক্তি উদ্যোগে একটি সেতু নির্মান করা হচ্ছে। সেতুটি অ-পরিকল্পিত ও ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় ভবিষ্যতে সেতু ভেঙে প্রানহানীর আশংকাও রয়েছে। এছাড়াও অপরিকল্পিত ভাবে সেতুটি নির্মান শেষে খালের পানি চলাচলে বাঁধার সৃষ্টি হবে। আটকে যাবে মাঝারী আকারের নৌযান চলাচল। ক্ষতি হবে প্রান্তিক কৃষকদের।”

অভিযোগকারী এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, “চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামের মৃত আতাহার আলীর পুত্র সাইদুল ও কামরুল দুই ভাই মিলে সেতুটি নির্মান করছে। সেতুটি নির্মান হলে সরকারি অর্থে খালটি খননের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। কমে যাবে খালের নাব্যতা।

ঝালকাঠি বারের সদস্য এ্যাডভোকেট মানিক আচার্য বলেন, এলজিইডি,পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়, বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ,পানি উন্নয়ন বোর্ড,পানি সম্পদ পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান (ডব্লিউ এ আর পি ও) পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া সরকারি খালে সেতু নির্মান সম্পুর্ন অবৈধ এবং একটি ফৌজধারী অপরাধ।

তবে সেতু নির্মানকারী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নিজেদের টাকা দিয়ে নিজেদের খালে ব্রীজ বানাইতেছি করতেছি তাতে সরকারের ক্ষতির কোনো কারন দেখছিনা। তাই অনুমোদনের প্রয়োজন মনে করিনি’

এ ব্যাপারে এলজিইডির রাজাপুর উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার আবেদনের কথা স্বিকার করে বলেন, আমরা সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘আবেদন পেয়ে থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।