মোঃ আরমানঃ গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২৩ ইং রাজধানীর সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের সিটি ইনভেস্টিগেশন টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন “জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া”র নায়েবে আমির মোঃ মহিবুল্লাহ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত হতে ০২টি মোবাইল এবং ০১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের প্রধান ডিআইজি আসাদুজ্জামান বলেন পলাতক জঙ্গী নেতা শামিন মাহফুজসহ গ্রেফতারকৃত মোঃ মহিবুল্লাহ ভোলার শায়েখ বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলার দূর্গম পাহাড়ে অবস্থিত জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দিস শারক্বীয়া’র প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে যায়।
এসময় প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে কুকি-চিনদের বিদ্রোহী সংগঠন কেএনএফ (কুকি-চিন ন্যশানাল ফ্রন্ট) এর তত্তাবধানে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ চলত। সেখানে তাদের সাথে কেএনএফ এর প্রধান নাথান বম ও অন্যান্য কুকি-চিন নেতাদের সাথে সাক্ষাত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে “জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া” নামে সংগঠনটির নামকরণ করা হয় এবং শুরা কমিটি গঠন করে। গ্রেফতারকৃত মোঃ মহিববুল্লাহ ভোলার শায়েখকে সংগঠনটির নায়েবে আমির হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ মহিববুল্লাহ ভোলার শায়েখ ক্যাম্পে অবস্থানকালে সন্ধ্যার পর প্রশিক্ষণরত সদস্যদেরকে র্দাস বা বয়ান দিত। তার বয়ানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে জঙ্গী সদস্যদেরকে জিহাদের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা।
গ্রেফতারকৃত মোঃ মহিববুল্লাহ ভোলার শায়েখ পাহাড়ে কিছুদিন অবস্থান করার পর ঢাকায় চলে আসে এবং শুরা কমিটির সদস্যদের সাথে এনক্রিপ্টেড চ্যাট এর মাধ্যমে সমন্বয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দাওয়াতের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালাতে থাকে। শুরা সদস্য ডাঃ শাকের শিশিরকে দাওয়াতী কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য গ্রেফতারকৃত মোঃ মহিববুল্লাহ ভোলার শায়েখকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংগঠনের শুরা পর্যায়ের একাধিক সদস্যের সাথে ঢাকা, সিলেট ও কিশোরগঞ্জে সংগঠনের কার্যক্রম জোরদার করা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সে একাধিক বৈঠকে অংশ নেয়। এছাড়া সে হাটহাজারীসহ বিভিন্ন মাদ্রাসাতে বিভিন্ন সময়ে আসা-যাওয়া করত এবং সেখান থেকে পেইনড্রাইভ এর মাধ্যমে বিভিন্ন জিহাদী ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে তার ল্যাপটপে সংরক্ষণ করত। জিহাদ সংক্রান্ত বিষয়ে তার নিজস্ব লেখার খসড়া কপিও তার কাছে পাওয়া গেছে। ডাঃ শাকের শিশির সিটিটিসির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে মোঃ মহিববুল্লাহ ভোলার শায়েখ নিজেকে আড়াল করতে তার ব্যবহৃত সিম ও মোবাইল ফোন নষ্ট করে ফেলে। পরবর্তীতে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে মোঃ মহিববুল্লাহ ভোলার শায়েখকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত জানায়, সে উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন “সে সময় হুজির অন্যান্য জঙ্গী নেতাদের সাথে গ্রেফতারকৃত মোঃ এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জঙ্গী কার্যক্রম পরিচালনার কাজে সদস্য সংগ্রহ ও দাওয়াতী কার্যক্রম চালাতে থাকে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়েরকৃত মামলায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।