দেশ বিদেশের নারী ও পুরুষ অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত “জয়বাংলা ম্যারাথন-২০২৪” জাকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজে ৭ই জুন ২০২৪ (শুক্রবার) ভোর ৫ টায় রাজধানীর দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলে মনোরম পরিবেশে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীদেরকে ২১ দৌড়াতে হয়। প্রজিযাগিতার উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি। এ সময় পিবিআই প্রধান এবং বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাব এর সভাপতি সহ আয়োজক কমিটির ঊর্ধ্বর্তন পুলিশ অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতায় দেশ ও বিদেশের অ্যাথলেটগণ ৪টি ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিযোগিতার ব্যাপ্তিকাল ছিল ৩ ঘন্ট ৪০ মিনিট। ৫০ ঊর্ধ্ব মহিলাদের ক্যাটাগরিতে ১ম স্থান অধিকার করেন জাপানী নারী অ্যাথলেট ইরি লি কৈকি;তিনি ২ ঘন্টা ২০ মি. ০৪ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আসাদুজ্জামান খান এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেল ও বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম। অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন)কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজিগণ সহ বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকতাগণ উপস্থিত ছিলেন। পুরুস্কার প্রাপ্ত সৌভাগ্যবান হলেন-১ম- আল-আমিন; তিনি ১ ঘন্টা ১৬ মি. ৯১ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।২য়- মোঃ আসিফ বিশ্বাস; তিনি ১ ঘন্টা ১৭ মি. ২৭ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৩য়- মেহেদী হাসান; তিনি ১ ঘন্টা ১৮ মি. ৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৪র্থ -মোঃ সোহানুর রহমান; তিনি ১ ঘন্টা ১৮ মি. ২৬ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৫ম- মোঃ ফরিদ মিয়া; তিনি ১ ঘন্টা ১৮ মি. ২৭ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৬ষ্ঠ- মোঃ এলাহী সরদার; তিনি ১ ঘন্টা ১৮ মি. ৩০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন। ৭ম- মোঃ ইমরান হাস; তিনি ১ ঘন্টা ১৮ মি. ৪৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৮ম- মাহাবুর রহমান হৃদয়; তিনি ১ ঘন্টা ২০ মি. ০২ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৯ম- মোঃ নাজিমুল হক; তিনি ১ ঘন্টা ২০ মি. ৫০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।১০ম- সোহেল রানা; তিনি ১ ঘন্টা ২৫ মি. ১০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
১৬-৫০ বছর বয়সী নারীঃ১ম-পাপিয়া খাতুন; তিনি ১ ঘন্টা ৪২ মি. ৩৮ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।২য়-লাপিয়া খাতুন; তিনি ১ ঘন্টা ৪২ মি. ৩৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৩য়-প্রীতি আক্তার;তিনি ১ ঘন্টা ৪৬ মি. ২০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৪র্থ – রিংকি বিশ্বাস; তিনি ১ ঘন্টা ৪৭ মি. ০৬ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৫ম-মোসাঃ প্রিয়া; তিনি ১ ঘন্টা ৫০ মি. ০৬ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৬ষ্ঠ-মোসাঃ সামিয়া; তিনি ১ ঘন্টা ৫৩ মি. ৩৬ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৭ম-অনন্যা বিশ্বাস; তিনি ১ ঘন্টা ৫৪ মি. ৫১ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৮ম- স্মৃতি আক্তার; তিনি ১ ঘন্টা ৫৭ মি. ৫২ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৯ম- মুন্নি কর্মকার; তিনি ১ ঘন্টা ৫৮ মি. ৪৩ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।১০ম-রিয়া আক্তার; তিনি ২ ঘন্টা ০১ মি. ১২ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৫১ এবং ৫১ এর ঊর্ধ্বে বছর বয়সী পুরুষঃ১ম-জসিম উদ্দিন আহাম্মেদ; তিনি ১ ঘন্টা ২৯ মি. ৫৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন। ২য়-মোঃ ওহাব খান; তিনি ১ ঘন্টা ৪৫ মি. ০০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৩য়-আমিনুর রহমান; তিনি ১ ঘন্টা ৪৪ মি. ২৩ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৪র্থ -বাবর উদ্দিন; তিনি ১ ঘন্টা ৫৬ মি. ৪৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।৫ম-মোঃ পেরুল ইসলাম; তিনি ১ ঘন্টা ৫৯ মি. ৪০ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৫১ এবং ৫১ ঊর্ধ্বে বছর বয়সী নারীঃ১ম-ইরি লি কৈকি;তিনি ২ ঘন্টা ২০ মি. ০৪ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।২য়-শাহ্ তামান্না সিদ্দিকী;তিনি ২ ঘন্টা ৪০ মি. ৫৪ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
৩য়-আয়েশা মুন্নি; তিনি ২ ঘন্টা ৫৬ মি. ২৯ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন। ৪র্থ -ডাঃ শাহ্ ফাহমিদা সিদ্দিকী ; তিনি ৩ ঘন্টা ০৩ মি. ৩৪ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন। ৫ম-জেসমিন আক্তার; তিনি ৩ ঘন্টা ১২ মি. ৪৭ সেকেন্ড সময়ে ফিনিসিং লাইন অতিক্রম করেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেন, আজকে ম্যারাথনের মাধ্যমে পুলিশ দেখিয়ে দিলেন যে, পুলিশ সবই পারে। করোনার সময় মা সন্তানকে ফেলে রেখে চলে গিয়েছে। দাফন করতেও আসে নাই। এমন অসহায় অবস্থায় পুলিশ তাদের পাশে ছিল। যেখানেই যা প্রয়োজন পুলিশ জনগনের সহযোগিতা করেছে যা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। পুলিশ মানুষকে এক প্লাটফরমে এনে স্পোর্টস এর মাধ্যমে একত্রিত করার দক্ষতা দেখিয়ে দিয়েছে। তাদের ধন্যবাদ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেল ও বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাব একটি অসাধারণ ম্যারাথন আয়োজন করেছে। নিঃসন্দেহে এটি অত্যান্ত প্রশংসার দাবীদার। এর মাধ্যমে আগামী প্রজন্ম ৬ দফা দাবীর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে। তিনি সফল ম্যারাথন আয়োজনের জন্য পিবিআই প্রধান ও বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এবং ডিএমপির সিটিটিসি এর প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও জয় বাংলা ম্যারাথন ২০২৪ প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার) সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে
ধন্যবাদ জনান।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ পুলিশের ক্ষুদ্র ক্রীড়া সংগঠন বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিকস ও সাইক্লিং ক্লাব এর সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম, পিপিএম (বার), সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পুলিশ এ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাব, মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, বিপিএম, পিপিএম (বার), যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্), ডিএমপি ও সদস্য সচিব, জয় বাংলা ম্যারাথন ২০২৪ প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটি সহ এক ঝাক মেধাবী পুলিশ অফিসারের অল্প দিনের মেধা ও শ্রমের ফলে জয়বাংলা ম্যারাথন-২০২৪ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।