
খন্দকার রাইয়ানঃ তিন দিনের অসাধারণ কূটনীতি, বিতর্ক এবং সংলাপের পর বিএনএমপিসিএমইউএন চতুর্থ অধিবেশন জমকালো সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হয়েছে।
২২ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনটি সারা দেশের তরুণ প্রতিভাদের শান্তি, নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার এবং সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনায় একত্রিত করেছিল—যা মডেল ইউনাইটেড নেশনসের চেতনার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত।
এই আয়োজনকালীন- ১৪টি কমিটি পুন:উদ্যমে কাজ করেছে এবং নানা প্রস্তাবনা, বিতর্ক ও গঠনমূলক কূটনীতি পরিচালনা করেছে।
প্রতিনিধিরা (Delegates) আলোচনা, সমঝোতা এবং রাষ্ট্রনায়কোচিত মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন।
নির্বাচিত কয়েকটি কমিটি, তাদের কার্যনির্বাহী বোর্ডের (Executive Board) সিদ্ধান্তে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাস্তব গতিশীলতাকে প্রতিফলিত করে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অসাধারণ প্রতিনিধি, কার্যনির্বাহী বোর্ডের সদস্য এবং সচিবালয়ের (Secretariat) সদস্যদের সম্মান জানানো হয়, যারা সর্বোচ্চ মানের কর্মক্ষমতা, প্রতিশ্রুতি এবং নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানস্থলের জাঁকজমক এই সম্মেলনের গাম্ভীর্য ও মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছে, যার ফলে প্রতিটি মুহূর্ত—পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন থেকে শুরু করে কমিটি আলোচনা পর্যন্ত—শ্রেষ্ঠত্বের আবহে পরিচালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি মহাসচিব আবিদ ফাহাদ খান, মহাপরিচালক, সাধারণ সম্পাদক ফাজিউর ইসলাম রাদিফ এবং উপ-মহাপরিচালক ওয়াসি রহমানের ভাষণে সুশোভিত হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই এ অধিবেশনের যাত্রা এবং তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এ সাফল্যের মূলে রয়েছে বিএনএমপিসিএমইউএন চতুর্থ অধিবেশনের সচিবালয় বোর্ড, যাদের দূরদৃষ্টি, শৃঙ্খলা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম এই আয়োজনের প্রতিটি ধাপকে সুসংগঠিত করেছে। তাদের এবং কার্যনির্বাহী বোর্ডের প্রতি আমরা এই সম্মেলনের সাফল্যের জন্য কৃতজ্ঞ, যারা সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সাথে কমিটিগুলোকে পরিচালনা করেছেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিনিধিরা—যারা মডেল ইউনাইটেড নেশনসের প্রাণ—তাদের কূটনীতির প্রতি ভালোবাসা এবং বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় তাদের সাহসিকতা এ আয়োজনকে শুধু স্মরণীয় নয়, অর্থবহ করে তুলেছে।
চূড়ান্ত গাভেল পড়ার সাথে সাথে আমরা শুধু একটি সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা করি না; আমরা ইতিহাস রচনা করি।
বিএনএমপিসিএমইউএন চতুর্থ অধিবেশন বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী সাফল্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা জাতিসংঘের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং শান্তি, জবাবদিহিতা ও সহযোগিতার মূল্যবোধ প্রসারে তরুণদের ভূমিকার এক গর্বিত স্মারক।
এর মধ্য দিয়ে আমরা বিএনএমপিসিএমইউএন চতুর্থ অধিবেশনকে বিদায় জানাচ্ছি—এটি কোনো শেষ নয়, বরং আগামীতে আরও বড় প্রচেষ্টার সূচনা।