ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

চৌদ্দগ্রামের দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষের অনিয়মে পাহাড় !

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ১০:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • ৩৩২২ বার পড়া হয়েছে

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি :কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের ১০৯ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দত্তসার রহমানীয়া মাদ্রাসাটি দক্ষ পরিচালনা ও সঠিক তদারকির অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে।খবর নিয়ে জানা যায় ১৯১৪ সালে মুসলিম সন্তানদেরকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করর উদ্দেশ্য স্থানীয় সমাজ হিতোষী মুরহুম আজিজুর রহমান ডিপ্টির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকা – চট্রগ্রাম মহা সড়কের পাশে মনোরম পরিবেশে দত্তসার দীঘির উত্তর পাড়ে দত্তসার রহমানীয় মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠান করা হয় । প্রতিষ্ঠানের পর মাদ্রাসাটি জরাজীর্ণ থাকলেও ক্রমেক্রমে এলাকাবাসীর দান অনুদান ও সরকারী সহযোগিতায় কাঠামোগত অনেক উন্নতি হয়েছে । কিন্তু কাঠামোগত উন্নতি হলে ও ছাত্র /ছাত্রী সংখ্যা যেমন বাড়েনি-তেমনি শিক্ষা দিক্ষায় ও উন্নতি করতে পারেনি । স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ ২০ বছর পরিচালনা কমিটির নির্বাচন হয় না। দীর্ঘ ২০ বছর একঘোয়ামী ভাবে পরিচালিত হচ্ছে কমিটি । মাদ্রাসার পরিচালনা সভাপতি আব্দুল কাদের আমেরিকা প্রবাসী । প্রায় ৮৩ বছর বয়স্ক এই সভাপতি ২/৩ বছর পর দেশে আসেন এবং কয়েক মাস থেকে আবার চলে যান। আমেরিকান প্রবাসী হয়ে কি ভাবে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এটা নিয়ে ও এলাকাবাসীর মনে নানান প্রশ্ন জেগেছে? এই বিষয়ে জানতে চাইলে মহতামিম একেক সময় একেক রকম কথা বলেন ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন গত ২০ বছরে মাদ্রাসার কোনো বার্ষিক হিসাব উপস্থাপন করেনি বর্তমান কমিটি। প্রতি বছর সরকার ও প্রবাসী এবং এলাকাবাসীর যে পরিমান দান অনুদান আসে তা দিয়ে মাদ্রাসাটি আরো অনেক উন্নতি করতে পারতো। স্থানীয় সমাজসেবক ওবায়দুর রহমান বলেন মাদ্রাসার পরিবেশ আয়তন অবস্থান সব মিলিয়ে মাদ্রাসাটি ফেনীর বিখ্যাত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান রাশিদিয়া মাদ্রাসার মতো হতে পারতো।

মাদ্রাসাটি সঠিক পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণের অভাবে শিক্ষা দিক্ষায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে । জানা যায় মাদ্রাসার পাশ্বের বাসিন্দা দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানশীল মো: রফিক ভূইয়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দত্তসার মৌজায় ২০২২ সালে ১২৬০/২০২২নং দলিলমুলে মাদ্রসার সাথে ৩২০ ডিসিমিল জায়গা মাদ্রাসার নামে ওয়াকফলিল্লাহ করে দেন । প্রায় ১১শত ডিসিমিল এর আয়তনের ঐতিহ্যবাহী দত্তসার দীঘির ৮০০ শত ডিসিমিল এর মালিক ধনাট্য দানশীল মোহাম্মদ রফিক ভূইয়া ।

তিনি দীঘির পূর্ব পাডের ৮০ ডিসমিল জায়গা
জনসাধারণের কবর স্থানের জন্য দান করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ৪০০ ডিসমিল জায়গার দান করে দিয়েছেন। জানা যায় বিশিষ্ট সমাজসেবক দানবীর মোহাম্মদ রফিক ভূইয়া সব সময় মাদ্রাসাটিতে দান অনুদান দিয়ে থাকেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ১৯১৮ সালে তাকে মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নির্বাচিত করেন ।মোহাম্মদ রফিক ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন জনপ্রতিনিধি, ব্যক্তি উদ্যোগে ও সরকারী দান অনুদানে প্রচুর দান অনুদান আসলে ও সঠিক তদারকির অভাবে তেমন উন্নতি হয়নি মাদ্রাসাটির। তিনি আরো বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূয়া আইডি খুলে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্র মহল ।তাই তিনি গত ৩ আগষ্ট ২০২২ সালে মাদ্রাসার মোহতামিম ফয়জুল্লাহ । পিতা -ইদু মিয়া । এবং সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বাবু পিতা – মৃত আমিরুল ইসলাম এ দুই জনের নামে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। তিনি আরো বলেন দলিলের মাধ্যমে ৪০০ ডিসিমেল জায়গা ওয়াকফ করে দিছি । মহান আল্লাহ আমাকে অনেক ধন সম্পদ দিছে আমি আগামীতে আমার সম্পত্তির আরো কিছু অংশ এই প্রতিষ্ঠানে দান করে দিবো। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন মাদ্রাসর সঠিক কোনো হিসাব পাই না। সভাপতি অধ্যক্ষের অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে মোহতামিম ফয়জুল্লাহ বলেন আমি এই মাদ্রাসায় ১৯৯১ সালে যোগদান করি।

১৯৯৯ সাল থেকে মোঃ তামিমের দায়িত্ব পালন করে আসছি । এই সব বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট । এলাকাবাসীর দাবী পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই মাদ্রাসাটি সঠিক তদারকির মাধ্যমে আরো উন্নতি করা হোক না হয় পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সুন্দর একটি পরিচালনা কমিটি করা হোক বলে ও দাবী জানান তিনি।

দওসার রহমানিয়া মাদ্রাসা বর্তমানে দুই জনের কাছে জিম্মি হয়ে আছে বলে জানান তিনি ।অধ্যক্ষ ফয়জুল্যাহ ও সভাপতির ভাতিজা বাবু তারা দুইজনে বর্তমানে কোটিপতি ! ফয়জুল্যা বাবা একজন রিক্সা চালক ছিলেন,বর্তমানে তার তিন তলা বাড়ি আছে ।বাবু একটা ক্লিনিক এ চাকুরী করতো বর্তমানে সে এখন ক্লিনিক এর মালিক বনে গেছেন,গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড় যাহা এলাকাবাসীর কাছে আলাউদ্দিন এর আশ্রার্য় প্রদীপ এর মতো।স্থানীয় রা বলছেন মাদ্রাসার প্রান্ডের টাকা দিয়ে গড়ছেন এতো কিছু ।দীর্ঘদিন যাবত মাদ্রাসার আয় ও ব্যায়ের ও কোনো হিসাব দেন না বাবু।দুঃখের বিষয় হলো মাদ্রাসার জায়গার মালিক কোটি কোটি টাকার জমি দেওয়ার পরে ও প্রধান উপদেষ্টা হয়েও মাদ্রাসার কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত পায়না । দাওয়াত না দেওয়ার কারন হলো যদি তিনি মাদ্রাসার টাকা পয়সা ও আয় ব্যায়ের হিসাব চায় ঐজন্য।সভাপতি ও তার ভাতিজা মাদ্রাসার জমি দখল করে বাড়ি ও গেইট বানিয়েছেন তাদের বিচারের আওতা এনে নতুন কমিটির করার ও আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় ভূক্তভোগীরা।

চৌদ্দগ্রামের দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিল্পপতি সমাজসেবক দানবীর মোঃরফিক ভূঁইয়ার কাছে মাদ্রাসার পারিপাশ্রিক অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভাবতে অবাক লাগে ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে পাশে ১০৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসার যার সুনাম সারাদেশে ছডিয়ে থাকার কথা সেখানে মাদ্রাসার বর্তমান বেহাল দশা শুনতে খারাপ লাগে বর্তমানে একটা ছোট মাদ্রাসায় ও মোকতবে ৪০০ থেকে ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকে চৌদ্দগ্রামের দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসায় বর্তমান ছাত্র থাকার কথা ১০ থেকে ১৫ হাজার সেখানে অনুমান ২০০ জনের ও কম ছাত্র থাকায় খুব খারাপ লাগছে সত্যি এটা দুঃখজনক।তিনি আরো বলেন আমি চেয়েছি উক্ত মাদ্রাসাকে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় করবো কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কিছু করার সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

চৌদ্দগ্রামের দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি ও অধ্যক্ষের অনিয়মে পাহাড় !

আপডেট সময় : ১০:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি :কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের ১০৯ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দত্তসার রহমানীয়া মাদ্রাসাটি দক্ষ পরিচালনা ও সঠিক তদারকির অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটা পিছিয়ে পড়ছে।খবর নিয়ে জানা যায় ১৯১৪ সালে মুসলিম সন্তানদেরকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করর উদ্দেশ্য স্থানীয় সমাজ হিতোষী মুরহুম আজিজুর রহমান ডিপ্টির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকা – চট্রগ্রাম মহা সড়কের পাশে মনোরম পরিবেশে দত্তসার দীঘির উত্তর পাড়ে দত্তসার রহমানীয় মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠান করা হয় । প্রতিষ্ঠানের পর মাদ্রাসাটি জরাজীর্ণ থাকলেও ক্রমেক্রমে এলাকাবাসীর দান অনুদান ও সরকারী সহযোগিতায় কাঠামোগত অনেক উন্নতি হয়েছে । কিন্তু কাঠামোগত উন্নতি হলে ও ছাত্র /ছাত্রী সংখ্যা যেমন বাড়েনি-তেমনি শিক্ষা দিক্ষায় ও উন্নতি করতে পারেনি । স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘ ২০ বছর পরিচালনা কমিটির নির্বাচন হয় না। দীর্ঘ ২০ বছর একঘোয়ামী ভাবে পরিচালিত হচ্ছে কমিটি । মাদ্রাসার পরিচালনা সভাপতি আব্দুল কাদের আমেরিকা প্রবাসী । প্রায় ৮৩ বছর বয়স্ক এই সভাপতি ২/৩ বছর পর দেশে আসেন এবং কয়েক মাস থেকে আবার চলে যান। আমেরিকান প্রবাসী হয়ে কি ভাবে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এটা নিয়ে ও এলাকাবাসীর মনে নানান প্রশ্ন জেগেছে? এই বিষয়ে জানতে চাইলে মহতামিম একেক সময় একেক রকম কথা বলেন ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন গত ২০ বছরে মাদ্রাসার কোনো বার্ষিক হিসাব উপস্থাপন করেনি বর্তমান কমিটি। প্রতি বছর সরকার ও প্রবাসী এবং এলাকাবাসীর যে পরিমান দান অনুদান আসে তা দিয়ে মাদ্রাসাটি আরো অনেক উন্নতি করতে পারতো। স্থানীয় সমাজসেবক ওবায়দুর রহমান বলেন মাদ্রাসার পরিবেশ আয়তন অবস্থান সব মিলিয়ে মাদ্রাসাটি ফেনীর বিখ্যাত দ্বীনি প্রতিষ্ঠান রাশিদিয়া মাদ্রাসার মতো হতে পারতো।

মাদ্রাসাটি সঠিক পরিচালনা ও পর্যবেক্ষণের অভাবে শিক্ষা দিক্ষায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে । জানা যায় মাদ্রাসার পাশ্বের বাসিন্দা দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানশীল মো: রফিক ভূইয়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের দত্তসার মৌজায় ২০২২ সালে ১২৬০/২০২২নং দলিলমুলে মাদ্রসার সাথে ৩২০ ডিসিমিল জায়গা মাদ্রাসার নামে ওয়াকফলিল্লাহ করে দেন । প্রায় ১১শত ডিসিমিল এর আয়তনের ঐতিহ্যবাহী দত্তসার দীঘির ৮০০ শত ডিসিমিল এর মালিক ধনাট্য দানশীল মোহাম্মদ রফিক ভূইয়া ।

তিনি দীঘির পূর্ব পাডের ৮০ ডিসমিল জায়গা
জনসাধারণের কবর স্থানের জন্য দান করে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার ৪০০ ডিসমিল জায়গার দান করে দিয়েছেন। জানা যায় বিশিষ্ট সমাজসেবক দানবীর মোহাম্মদ রফিক ভূইয়া সব সময় মাদ্রাসাটিতে দান অনুদান দিয়ে থাকেন। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ১৯১৮ সালে তাকে মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে নির্বাচিত করেন ।মোহাম্মদ রফিক ভূইয়া অভিযোগ করে বলেন জনপ্রতিনিধি, ব্যক্তি উদ্যোগে ও সরকারী দান অনুদানে প্রচুর দান অনুদান আসলে ও সঠিক তদারকির অভাবে তেমন উন্নতি হয়নি মাদ্রাসাটির। তিনি আরো বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভূয়া আইডি খুলে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্র মহল ।তাই তিনি গত ৩ আগষ্ট ২০২২ সালে মাদ্রাসার মোহতামিম ফয়জুল্লাহ । পিতা -ইদু মিয়া । এবং সৈয়দ মনিরুল ইসলাম বাবু পিতা – মৃত আমিরুল ইসলাম এ দুই জনের নামে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। তিনি আরো বলেন দলিলের মাধ্যমে ৪০০ ডিসিমেল জায়গা ওয়াকফ করে দিছি । মহান আল্লাহ আমাকে অনেক ধন সম্পদ দিছে আমি আগামীতে আমার সম্পত্তির আরো কিছু অংশ এই প্রতিষ্ঠানে দান করে দিবো। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন মাদ্রাসর সঠিক কোনো হিসাব পাই না। সভাপতি অধ্যক্ষের অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে মোহতামিম ফয়জুল্লাহ বলেন আমি এই মাদ্রাসায় ১৯৯১ সালে যোগদান করি।

১৯৯৯ সাল থেকে মোঃ তামিমের দায়িত্ব পালন করে আসছি । এই সব বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট । এলাকাবাসীর দাবী পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই মাদ্রাসাটি সঠিক তদারকির মাধ্যমে আরো উন্নতি করা হোক না হয় পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সুন্দর একটি পরিচালনা কমিটি করা হোক বলে ও দাবী জানান তিনি।

দওসার রহমানিয়া মাদ্রাসা বর্তমানে দুই জনের কাছে জিম্মি হয়ে আছে বলে জানান তিনি ।অধ্যক্ষ ফয়জুল্যাহ ও সভাপতির ভাতিজা বাবু তারা দুইজনে বর্তমানে কোটিপতি ! ফয়জুল্যা বাবা একজন রিক্সা চালক ছিলেন,বর্তমানে তার তিন তলা বাড়ি আছে ।বাবু একটা ক্লিনিক এ চাকুরী করতো বর্তমানে সে এখন ক্লিনিক এর মালিক বনে গেছেন,গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড় যাহা এলাকাবাসীর কাছে আলাউদ্দিন এর আশ্রার্য় প্রদীপ এর মতো।স্থানীয় রা বলছেন মাদ্রাসার প্রান্ডের টাকা দিয়ে গড়ছেন এতো কিছু ।দীর্ঘদিন যাবত মাদ্রাসার আয় ও ব্যায়ের ও কোনো হিসাব দেন না বাবু।দুঃখের বিষয় হলো মাদ্রাসার জায়গার মালিক কোটি কোটি টাকার জমি দেওয়ার পরে ও প্রধান উপদেষ্টা হয়েও মাদ্রাসার কোনো অনুষ্ঠানে দাওয়াত পায়না । দাওয়াত না দেওয়ার কারন হলো যদি তিনি মাদ্রাসার টাকা পয়সা ও আয় ব্যায়ের হিসাব চায় ঐজন্য।সভাপতি ও তার ভাতিজা মাদ্রাসার জমি দখল করে বাড়ি ও গেইট বানিয়েছেন তাদের বিচারের আওতা এনে নতুন কমিটির করার ও আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় ভূক্তভোগীরা।

চৌদ্দগ্রামের দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসার প্রধান উপদেষ্টা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিল্পপতি সমাজসেবক দানবীর মোঃরফিক ভূঁইয়ার কাছে মাদ্রাসার পারিপাশ্রিক অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন,ভাবতে অবাক লাগে ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে পাশে ১০৯ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসার যার সুনাম সারাদেশে ছডিয়ে থাকার কথা সেখানে মাদ্রাসার বর্তমান বেহাল দশা শুনতে খারাপ লাগে বর্তমানে একটা ছোট মাদ্রাসায় ও মোকতবে ৪০০ থেকে ৫০০ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকে চৌদ্দগ্রামের দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসায় বর্তমান ছাত্র থাকার কথা ১০ থেকে ১৫ হাজার সেখানে অনুমান ২০০ জনের ও কম ছাত্র থাকায় খুব খারাপ লাগছে সত্যি এটা দুঃখজনক।তিনি আরো বলেন আমি চেয়েছি উক্ত মাদ্রাসাকে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় করবো কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কিছু করার সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না।