গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং ভিকটিম ইয়াছিন আলী মুন্না তার গ্রামের বাড়ী বগুড়াতে যান গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বগুড়া হতে দুপুর অনুমান ৩.ঘটিকার সময় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাত অনুমান ১১ ঘটিকার সময় ভিকটিমের বড় বোন ভিকটিমের মোবাইল নাম্বার এ ফোন করিয়া কোন সাড়া পান নাই।
পরবর্তীতে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রাত অনুমান ২ ঘটিকার সময় শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ ভিকটিম ইয়াছিন আলী মুন্না এর মোবাইল ফোন থেকে ভিকটিমের বড় বোন এর মোবাইলে জানান ভিকটিম ইয়াছিন আলী মুন্না এর মৃতদেহ শেরেবাংলা নগর থানাধীন শেরেবাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল গেইটের অনুমান ৩০ গজ উত্তরে রাস্তার পাশে থাকা ময়লার স্তুপের পাশে পাওয়া যায়। সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের আত্মীয় স্বজন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা মৃতদেহ সনাক্ত করেন। এ বিষয়ে ভিকটিমের বড় বোন জামাই একেএম আমানুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে শেরে বাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অদ্য ৫ মার্চ পিবিআই এর হেডকোয়ারটাস এ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, মামলাটি প্রথমে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ তদন্ত করে। প্রায় ২ মাস পর ডিবি, ডিএমপি, ঢাকা মামলাটির তদন্ত শুরু করে । মামলাটি ডিবি, ডিএমপি এর তদন্তকালীন সময়ে একই ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা নং-১২, জুলাই ২০২০ সালে শেরেবাংলা নগর থানায় রুজু হয়। মামলাটি শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ তদন্ত করে। ১২নং মামলায় শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ আসামী,মোঃ আসাদ শেখ (৫৩),মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাওলদার দেলু (৪০),মোঃ জলিল সিকদার (৪৩) এবং ৪) মোঃ মিজানুর রহমান সরদার মিজান (৪০)-গণদের গ্রেফতার করে।
উক্ত আসামীদের ডিবি, ডিএমপি, ঢাকা ৪৬ নং মামলায় গ্রেফতার দেখায়। ডিবি, ডিএমপির প্রায় ১০ মাস তদন্তের পর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা এর আদেশে গত ২ নভেম্বর ২০২০ তারিখ মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৪ জন আসামী পিবিআই মামলা গ্রহণের পূর্বেই জামিন পায়।
পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার এর সঠিক তত্ত্ববধান ও দিক নির্দেশনায়,আহসান হাবীব পলাশ, বিশেষ পুলিশ সুপার এসআই ও মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসআইএন্ডও (অগার্নাইজড ক্রাইম-উত্তর) এর নেতৃতে পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আমিনুল হক, এসআই মেহেদী হাসান,এসআই আবু সাঈদ, এসআই,বাসুদেব সর্ব এসআইএন্ডও (অগার্নাইজড ক্রাইম-উত্তর) চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্য, সিসি ফুটেজ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামী কবির হোসেনকে হাজারীবাগ এলাকা হইতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আসামী কবির হোসেন ঘটনার বর্ণনা দেন।
আসামী কবির হোসেন বিজ্ঞ আদালতে কাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২৩ ইং বিকাল ৩.ঘটিকায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত মোঃ কবির হোসেন (৫০) ডিএমপি, ঢাকা কে ম্যাটাডোর মোড়, হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। তার দেওয়া তথ্য অনুসারে পিবিআই অত্র মামলার ভিকটিম ইয়াসিন আলী মন্ডল মুন্না হত্যাকান্ডের সময় ব্যবহৃত ০২ (দুই) টি সিএনজি (যাহার নম্বর যথাক্রমে ঢাকা-দ-১১-১৮০১ এবং ঢাকা-দ-১১-২৪৩৮) উদ্ধার করে।
পিবিআই তদন্তকালে জানা যায় যে, ভিকটিম বগুড়া হতে ঢাকার গাবতলীতে পৌঁছানোর পর তাহার বাসায় যাওয়ার জন্য রাত অনুমান ৯ ঘটিকার সময় অত্র মামলায় পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী ড্রাইভার আসাদ শেখের সিএনজিতে উঠে। সিএনজি শ্যামলীতে পৌঁছানোর পর শ্যামলী ক্রসিং এর আগে বাম পাশে ফাঁকা জায়গাতে থামে ।
সিএনজি নষ্টের কথা বলে আসাদ শেখ ভিকটিমসহ অপেক্ষা করতে থাকে। ইতোমধ্যে পিছনের সিএনজিতে থাকা অপরাপর আসামী মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাওলদার দেলু (৪০), মোঃ জলিল সিকদার (৪৩) এবং মোঃ মিজানুর রহমান সরদার মিজান (৪০)গণ জোরপূর্বক আসামী ড্রাইভার আসাদ শেখের সিএনজিতে উঠে । আসাদ শেখ সিএনজিটি চালিয়ে যেতে থাকে। তখন পিছন থাকা সিএনজি’টি আসামী কবির হোসেন (৫০) চালিয়ে পিছনে পিছনে যায়।চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে ৪ জনকে আটক করে বিজ্ঞ আদালতে ফেরন করা হয়েছে।
চেয়ারম্যানঃ-আব্দুর রহিম খান,
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো : মাসুদ রানা
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ঢাকার বার্তা ২৪