র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানাধীন চর কোমরভাঙ্গা এলাকায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে উক্ত এলাকায় বসবাসকারী মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন (৪০) উভয় মিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সবুজের আপন জেঠাত ভাই সাদেক’কে বাশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে বেধরক মারধর করতে থাকে। মারধর ও ডাক-চিৎকারের শব্দ শুনতে পেয়ে সাদেকের ভাই মোঃ রুবেল মিয়া ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে এগিয়ে আসলে সবুজ ও তার স্ত্রী নাজমা সাদেক’কে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
অতঃপর সাদেকের ভাই রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন সাদেককে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিলেক কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে রাস্তায় সাদেক মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম সাদেকের লাশ তাদের নিজ বাড়ীতে নিয়ে এসে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ মায়না তদন্তের জন্য সাদেকের লাশ মর্গে প্রেরণ কেরন।
উক্ত ঘটনায় মৃত সাদেকের ভাই মোঃ রুবেল মিয়া (৩৫) বাদী হয়ে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় চাঞ্চল্যকর সাদেক হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন (৪০) এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম,প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ইং
আনুমানিক মাঝরাত ১ ঘটিকার সময় ঘটিকায় র্যাব-১০
এর উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং র্যাব-১৩ এর সহযোগীতায় দিনাজপুর জেলার কাহারোল থানাধীন নালাপুর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে উল্লেখিত ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল এলাকায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাঞ্চল্যকর সাদেক হত্যাকান্ডের সরাসরি জড়িত প্রধান আসামী মোঃ সবুজ মিয়া (৪৫) ও তার প্রধান সহযোগী তার স্ত্রী মোছাঃ নাজমা খাতুন (৪০)’কে গ্রেফতার করে র্যাব-১০।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা উক্ত হত্যাকান্ডের তাদের সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তারা মামলা রুজুর পর হতে দিনাজপুরের কাহারোল এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।