র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।র্যাব-৩ সৃষ্টিকাল থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-৩ অত্র এলাকার জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার সন্তোষপুর এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ সংঘটিত হয়। ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানাধীন সন্তোষপুর এলাকায় ভিকটিম হালিমা খাতুন স্ব-পরিবারে বসবাস করতন এবং ভিকটিমের স্বামী কাঁচামালের ব্যবসা করায় সে অধিকাংশ সময় বাড়ির বাহিরে থাকতো । এরই সুযোগ বুঝে ধৃত বাবুল মল্লিক ভিকটিমকে বাড়িতে গিয়ে বিরক্ত করতে এবং বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিত ।
গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং ভিকটিম ফুলবাড়িয়া থানাধীন কেশরগঞ্জ বাজারে যায়। বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ভিকটিমকে বাবুল এবং তার বন্ধু ফরিদ হাসান (২ নং পলাতক আসামি) দেখতে পায় । সেখান থেকে তারা ভিকটিমকে জোরপূর্বক সন্তোষপুর রাবার বাগানের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে বাবুল এবং ফরিদ ভিকটিমকে উক্ত স্থানে মুমূর্ষ অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় এসে তার স্বামীকে ফোন করে বিষয়টি জানায় এবং তারা ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানায় ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে বাবুল এবং ফরিদ এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ।
উক্ত মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৩
এর গোয়েন্দা দল গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা দল জানতে পারে পলাতক আসামি বাবুল মল্লিক ঢাকায় পালিয়ে এসেছে। র্যাব-৩ এর আভিযানিক দল আরও জানতে পারে ধৃত বাবুল স্থান পরিবর্তন করে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামি বাবুল মল্লিক (৪৩)ময়মনসিংহ’কে ১৩ জানুয়ারি ২০২৪ ইং ১১,৪০ মিনিটের সময় নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উক্ত মামলার ২ নং আসামি ফরিদ হাসান পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৩ গোয়েন্দা দলের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।