মাসুদ রানাঃ র্যাব-৩ সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে
লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানাধীন বশিকপুর এলাকায় চাঞ্চল্যকর খোরশেদ হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ রিপন হোসেন ভূঁইয়া (৩৫)’কে অদ্য ১ এপ্রিল ২৩ ইং র্যাব-৩ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গভীর রাতে রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকা অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে।
র্যাব-৩ এর অন্য এক অভিযানে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বিস্ফোরক মামলার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাজন মিয়া (৪১)’কে ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ১ এপ্রিল-২৩ ইং রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান,গ্রেফতারকৃত আসামী রিপন হোসেন ভূইয়া তার কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। সে এলাকায় আদিপত্য বিস্তার করে চোরি, ডাকাতি, খুন, হত্যা, গুমসহ, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত থেকে উক্ত কর্মকান্ড পরিচালনা করত। তার অপকর্মে এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাঁধাগ্রস্ত হয়ে পরে। এক পর্যায়ে খোরশেদ হত্যার ঘটনায় ২০১৪ সালে লক্ষীপুর থানায় তার নামে মামলা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত হওয়ায় তার নামে গ্রেফতারী আদেশ হলে সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থান পরিবর্তন করে পলাতক জীবন যাপন করে নিজেকে আত্নগোপনে করে আসছে।
অধিনায়ক আরো জানান গ্রফতারকৃত আসামী রাজন মিয়া তার কৃতকর্মের বিষয়টি স্বীকার করে। সে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, ডাকাতি, খুন, হত্যা, গুম, ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকতো। তার অপকর্মে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ২০০৬ সালে করিমগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করা হলে সে দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থান পরিবর্তন করে পলাতক জীবন যাপন করে নিজেকে আত্নগোপনে করে আসছে।ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান ফারজানা হক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) র্যাব-৩।