মোঃ শহিদুল ইসলাম,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃশিক্ষার্থীদের নিয়ে “নিরাপদ সড়ক ব্যবহার ও ট্রাফিক সচেতনতা” শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করেছে সিএমপি’র ট্রাফিক উত্তর বিভাগ।
দুপুর ১২ টায় নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডস্হ বালুচড়ার “লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজ” অডিটোরিয়ামে ট্রাফিক উত্তর বিভাগের আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা আমাদের সকলেরই কাম্য। কিন্তু সড়কের অব্যবস্থাপনা ট্রাফিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও অসচেতনতা সহ বিভিন্ন কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। শিশু ও শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কেউই সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। দুর্ঘটনা রোধে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ বা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে আমাদেরকে অভ্যস্ত করতে হবে। প্রয়োজনে সুশৃংখলভাবে ফুটপাত দিয়ে কিংবা রাস্তার ডান পাশ ঘেঁষে হাটার অভ্যাস করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সচেতনতার মাধ্যমে কমিয়ে আনা সম্ভব। কোন সমস্যা দেখা দিলে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে সহযোগিতা নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের দিক নির্দেশনা প্রদান, ধর্মীয় স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখতে হবে। স্কুল-কলেজে প্রতিদিনের সমাবেশে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা করা জরুরী। প্রয়োজনের শিক্ষকরা এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতা নিতে পারেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরো বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য শুধু চালকেরা এককভাবে দায়ী নয়। ডানে বামে না দেখে হঠাৎ দৌড়ে রাস্তা পারাপার থেকে বিরত থাকতে হবে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষায় রাস্তায় হাঁটার সময় কিংবা পারাপারের সময় মোবাইল ও হেডফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যানবাহন থেকে নামার সময় অবশ্যই প্রথমে বাম পা সামনে দিয়ে নামতে হবে। এ সময় তিনি প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এবং উপস্থিত কর্মশালায় সকলকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য শপথ বাক্য পাঠ করান।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লিডার্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল (অবঃ) আবু নাসের মো. তোহা। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, টিআই প্রশাসন ট্রাফিক উত্তর বিভাগের মো. কামাল হোসেন, টিআই (বায়েজিদ) মো. আলমগীর হোসেন, টিআই (মোহরা) মো. রেজাউল করিম খান, টিআই (প্রবর্তক) বিপুল পাল, এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলী এবং নগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।