হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা লাভের পরে সারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হলেও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নামক সংগঠন এখনো পুনরুদ্ধার হয়নি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসর ওদের হাতে চট্টগ্রামে অসংখ্য ছাত্র আহত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাসির এর অনুসারী আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশীষ ভট্টাচার্য কে সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী তাঁতী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জল কে সাধারণ সম্পাদক পুনঃবহাল রেখে অত্যন্ত সুকৌশলে রাতের আঁধারে কমিটি পুর্নবিন্যাস করে সাজিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে।
মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিকে পুনরায় ঘোষণা করা হয়। পূজা কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের শত বাঁধার মুখে জোরপূর্বক কমিটি বলবৎ রাখা হয়। বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট সহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন সনাতনী সংগঠন এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গণহত্যা মামলার আসামি সন্ত্রাস প্রকৃতির লোক পুজো কমিটির সম্মানিত পদে জোরপূর্বক পুনরায় দখল করে পুজা পরিষদ কে কলঙ্কিত করেছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো পূজা মন্ডপ-সহ বিভিন্ন মঠ মন্দির আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের অফিস হিসেবে ব্যবহার করার হীন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে যার উদাহরণ চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, যা অচিরেই পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন।
চট্টগ্রামে ছাত্র জনতার আন্দোলনে সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য ও হিল্লাল সেন উজ্জ্বল লাঠি সোটা নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আন্দরকিল্লা ও জামাল খানের মোড়ে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিল।