নুরে আলম পাটোয়ারি সোহেল :-
গাজীপুর মৌচাক আইডিয়াল পাবলিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থীকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রাবাড়ী শনিআখরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ধরা পড়েন এবং বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে বাচ্চার বাবার হাতে তুলে দেন।
কিডন্যাপার এবং কিডন্যাপ হওয়া বাচ্চাটি গাজীপুর মৌচাকের একই এলাকার বাসিন্দা এবং পরিচিত ছিলেন,কিডন্যাপার আরো বলেন বাচ্চাটিকে গত দুইদিন আগে তার স্কুল ছুটি হওয়ার পর তার বাবার অফিসে অনুষ্ঠান আছে বলে বাচ্চাটিকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়, এবং কিডন্যাপার গাজীপুরে তার এক নিকট আত্মীয়র বাসা বাচ্চাটিকে কিডন্যাপ করে গত দুই দিন ধরে আটকে রাখেন এবং কিডন্যাপ হওয়া বাচ্চাটির বাবার কাছে মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন,কিডন্যাপ হওয়া বাচ্চার বাবা তাৎক্ষণিক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে সেনাবাহিনীকেও জানান।
কিডন্যাপ হওয়া বাচ্চার বাবা মুক্তিপণের টাকা দিতে রাজি না হলে কিডন্যাপার বাচ্চাটিকে অনেক মারধর করেন এবং মেরে ফেলার হুমকিও দেন,
অবশেষে কিডন্যাপার মুক্তিফনের টাকা না পাওয়ায় কিডন্যাপ করে আনা বাচ্চাটিকে নিয়ে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাজীপুর থেকে একটি লোকাল বাসে করে শনিআখরা আসেন, এবং শনিআখরা থেকে হিমালয় বাসে করে নোয়াখালী যাওয়ার সময় কিডন্যাপারের গতিবিধ সন্দেহজনক মনে হলে বাস কাউন্টারের লোক কিডন্যাপার এবং কিডন্যাপ হওয়া বাচ্চাটিকে বাস কাউন্টারে বসিয়ে রাখেন,
এবং পাশে রাস্তায় ট্রাফিকের দায়িত্ব রত থাকা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ডেকে আনেন,ওখানকার ট্রাফিকের দায়িত্ব রত ছাত্র ছাত্রীরা কিডন্যাপারকে ধরে পাশে থাকা ধনিয়া কলেজে নিয়ে যান এবং কিডন্যাপারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন,, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যা কিডন্যাপার তার নিজ মুখে কিডন্যাপের সকল বিষয় স্বীকারোক্তি দেন,এবং তাৎক্ষণিক অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীরা বাচ্চাটি বাবাকে মোবাইল ফোনে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসাতে বলেন।
বাচ্চাটির বাবা এবং আত্মীয়স্বজনরা আসার পর ওখানকার ছাত্রছাত্রীরা কিডন্যাপ হওয়া বাচ্চাটিকে তার বাবার হাতে হস্তান্তর করেন এবং কিডন্যাপারকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন!