মাহাবুল ইসলাম পরাগ গাজীপুর
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ, সদর উপজেলার বিকেবাড়ি, টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায় চাকরি স্থায়ীকরণ, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, মজুরি বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে অন্তত ৮টি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ সময় কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে দীর্ঘ যানজটে নাকাল হন যাত্রীরা।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে গেছে, আজ সোমবার সকালে ইন্টারস্টাফ অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানার সামনে চাকরিপ্রার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় প্রায় আধা ঘন্টা ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করিয়ে তাদের নতুন করে কোনো পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। কারখানাটি শুধুমাত্র নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে আসছে এবং পুরুষ প্রার্থীদের বঞ্চিত করছে। এক পর্যায়ে, চাকরি না পাওয়ায় বিক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে চাকরি প্রার্থীরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে এবং কারখানার দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তখন কারখানার ভিতরে থাকা শ্রমিকেরাও ছাদ থেকে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। প্রায় আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং শ্রমিকদের কারখানার ভিতরে ফেরত পাঠানো হয়।
এ দিকে সদর উপজেলার বিকেবাড়ি এলাকায় চাকরি স্থায়ীকরণ, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, মজুরি বাড়ানোসহ ২১ দফা দাবিতে ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিউক্যাল নামের ওষুধ কারখানার শ্রমিকেরা কর্মবিরতি করে আন্দোলনে নামে। এ সময় শ্রমিকেরা কারখানা ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে ১১ টার দিকে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শ্রমিক প্রতিনিধিরা।
এ ছাড়া বেতন বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে টঙ্গী বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন বাটা সু কোম্পানির শ্রমিকেরা।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহমেদ বলেন, ‘নতুন চাকরির দাবি, চাকরিতে নারী বৈষম্য দূর করা, বেতন ভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে ১১টি কারখানায় শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’