ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল বাগেরহাটে ঐতিহ্যকে মেলে ধরে রাখতে পিঠা উৎসব মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃত্যু মোরেলগঞ্জে জালনোট প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত মধুপুরে বিয়ের ৭ মাস পর গৃহ বধূর রহস্য জনক মৃত্যু নড়াইলের গোবরায় মৎস্য খামারে বিষ প্রয়োগ ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন দুই বছর যাবত মায়ানমার কারাগারে বন্দী লামার ছেলে আবুল মোছা ইসলামপুরে মোটর সাইকেল সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু আহত ২ সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর উত্তরার লাভলীন রেস্টুরেন্টের আগুন নিয়ন্ত্রণে এস আলম ও তার পরিবারের ১২৫ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ

ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে গ্রেফতার ৫

  • মাসুদ রানা
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৩১৯৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ জসিম উদ্দিনঃ র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১ এলিট র্ফোস হিসেবে অত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।

গত ৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ে রাস্তার পাশে একটি চোখ উপড়ানো অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন নিকটস্থ র‍্যাব ক্যাম্পে অবহিত করে।

পরবর্তীতে র‍্যাব-১ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিকভাবে মৃতদেহের সাথে থাকা মানিব্যাগে বিভিন্ন নথিপত্র এবং ওআইভিএস ডিভাইস এর মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা মৃতদেহটির নাম ও পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং নিশ্চিত হয় যে মৃতব্যক্তির নাম ফারুক হোসেন,চাঁদপুর।পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারে মৃতদেহটি সনাক্ত করে এবং ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

যার মামলা নং-১০/১০, তারিখ ০৯ জানুয়ারি ২০২৪। নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। উক্ত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব-১ গোয়েন্দা নজদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১১ এর সহায়তায় র‍্যাব-১ এর যৌথ আভিযানিক দল রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুরের টঙ্গী এবং লক্ষীপুরের রায়পুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ক্লুলেস ও নৃশংস হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ নিজাম উদ্দিন (৩৬)মোঃ সোহাগ (৩৮)মোঃ জহিরুল ইসলাম (৪৮)মোঃ রনি হোসেন (২৩) ও মোঃ বাদশা (২৩), মোঃ শাহজাহান, দাউদপুর, কুমিল্লাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গনমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের জানান ভিকটিম ফারুক হোসেন (২৬) স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের সাথে রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। সে গাজীপুরের টঙ্গী চেরাগআলী এলাকায় ঢাকা এক্সপ্রেস নামীয় পরিবহনের ‘টিকিট কাউন্টার ম্যান’ হিসেবে বেশ কিছুদিন কাজ করতো। সে টঙ্গী চেরাগআলী এলাকায় বাসের টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতো বলে জানা যায়।

ঘটনার দিন গত ৮ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকায় ভিকটিম ফারুক কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে টঙ্গী চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ডে গমন করে। প্রতিদিনের ন্যায় নির্দিষ্ট সময়ে বাসায় না ফিরলে তার মা সহ পরিবারের লোকজন তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পায়। এ সময় তার পরিবারের লোকজন তাকে সম্ভব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান পায়নি। পরবর্তীতে গত ৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভিকটিম ফারুকের মৃতদেহ সনাক্ত করে।

তিনি আরো জানান যে, গ্রেফতারকৃত নিজাম উদ্দিন গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা এক্সপ্রেস নামক একটি পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করায় ভিকটিম ফারুকের সাথে তার পরিচয় ও সম্পর্ক তৈরি হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত নিজাম উদ্দিনের সাথে ভিকটিম ফারুকের বিভিন্ন লেনদেনের কারণে সম্পর্কের অবনতি হয় এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব ছিল। গত ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ গ্রেফতারকৃত নিজাম উদ্দিন এর নিকট ভিকটিম ফারুক পাওনা টাকা চাইলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত নিজাম ভিকটিম ফারুকের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য গ্রেফতারকৃত সোহাগ, জহিরুল, রনি ও বাদশাসহ আরও কয়েক জনের সাথে পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতারকৃত নিজাম মোবাইলে ফোন করে ভিকটিম ফারুককে টাকা নেওয়ার জন্য কাউন্টারে আসতে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিম ফারুক টাকা নিতে কাউন্টারে আসলে গ্রেফতারকৃত নিজামের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃত সোহাগ, জহিরুল, রনি ও বাদশা ভিকটিমকে মারধর করে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত নিজামের নির্দেশে গ্রেফতারকৃত সোহাগ, জহিরুল, রনি ও বাদশা ভিকটিম ফারুককে জোরপূর্বক ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি খালি বাসে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং বাসের মধ্যে পুনরায় ভিকটিম ফারুকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

পরবর্তীতে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে গ্রেফতারকৃত সোহাগ ও রনি ভিকটিম ফারুকের হাত-পা চেপে ধরে এবং গ্রেফতারকৃত বাদশা বাসে থাকা টুলবক্স থেকে স্ক্রু ড্রাইভার নিয়ে ভিকটিম ফারুকের বাম চোখ উপড়ে ফেলে। একপর্যায়ে ভিকটিম ফারুকের মৃত্যু নিশ্চিত হলে গ্রেফতারকৃতরা হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ভিকটিম ফারুকের মৃত দেহটি বাসে নিয়ে কুড়িল ফ্লাইওভার হয়ে পূর্বাচল ৩০০ ফিট রোড এলাকা দিয়ে ঘুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ে পাশে রঘুরামপুর এলাকার নির্জন রাস্তার পাশে ফেলে বাসটি নিয়ে লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

লামা ফাঁসিয়াখালীর শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসাস্থল হায়দারনাশী গ্রামার স্কুল

ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে গ্রেফতার ৫

আপডেট সময় : ১২:৫২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪

মোঃ জসিম উদ্দিনঃ র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১ এলিট র্ফোস হিসেবে অত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরণের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।

গত ৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ে রাস্তার পাশে একটি চোখ উপড়ানো অজ্ঞাতনামা মৃতদেহ দেখে স্থানীয় লোকজন নিকটস্থ র‍্যাব ক্যাম্পে অবহিত করে।

পরবর্তীতে র‍্যাব-১ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিকভাবে মৃতদেহের সাথে থাকা মানিব্যাগে বিভিন্ন নথিপত্র এবং ওআইভিএস ডিভাইস এর মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা মৃতদেহটির নাম ও পরিচয় সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং নিশ্চিত হয় যে মৃতব্যক্তির নাম ফারুক হোসেন,চাঁদপুর।পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারে মৃতদেহটি সনাক্ত করে এবং ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

যার মামলা নং-১০/১০, তারিখ ০৯ জানুয়ারি ২০২৪। নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও প্রিন্ট ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়। উক্ত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‍্যাব-১ গোয়েন্দা নজদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত রাতে র‍্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-১১ এর সহায়তায় র‍্যাব-১ এর যৌথ আভিযানিক দল রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুরের টঙ্গী এবং লক্ষীপুরের রায়পুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ক্লুলেস ও নৃশংস হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ নিজাম উদ্দিন (৩৬)মোঃ সোহাগ (৩৮)মোঃ জহিরুল ইসলাম (৪৮)মোঃ রনি হোসেন (২৩) ও মোঃ বাদশা (২৩), মোঃ শাহজাহান, দাউদপুর, কুমিল্লাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

দুপুরে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গনমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের জানান ভিকটিম ফারুক হোসেন (২৬) স্ত্রী সন্তানসহ পরিবারের সাথে রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতো। সে গাজীপুরের টঙ্গী চেরাগআলী এলাকায় ঢাকা এক্সপ্রেস নামীয় পরিবহনের ‘টিকিট কাউন্টার ম্যান’ হিসেবে বেশ কিছুদিন কাজ করতো। সে টঙ্গী চেরাগআলী এলাকায় বাসের টিকিট বিক্রির লভ্যাংশ দিয়ে নিজের ও পরিবারের খরচ চালাতো বলে জানা যায়।

ঘটনার দিন গত ৮ জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকায় ভিকটিম ফারুক কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে টঙ্গী চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ডে গমন করে। প্রতিদিনের ন্যায় নির্দিষ্ট সময়ে বাসায় না ফিরলে তার মা সহ পরিবারের লোকজন তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পায়। এ সময় তার পরিবারের লোকজন তাকে সম্ভব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান পায়নি। পরবর্তীতে গত ৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ভিকটিম ফারুকের মৃতদেহ সনাক্ত করে।

তিনি আরো জানান যে, গ্রেফতারকৃত নিজাম উদ্দিন গাজীপুরের টঙ্গীর চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা এক্সপ্রেস নামক একটি পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করায় ভিকটিম ফারুকের সাথে তার পরিচয় ও সম্পর্ক তৈরি হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত নিজাম উদ্দিনের সাথে ভিকটিম ফারুকের বিভিন্ন লেনদেনের কারণে সম্পর্কের অবনতি হয় এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব ছিল। গত ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ গ্রেফতারকৃত নিজাম উদ্দিন এর নিকট ভিকটিম ফারুক পাওনা টাকা চাইলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত নিজাম ভিকটিম ফারুকের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য গ্রেফতারকৃত সোহাগ, জহিরুল, রনি ও বাদশাসহ আরও কয়েক জনের সাথে পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৮ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ০৭.৩০ ঘটিকার সময় গ্রেফতারকৃত নিজাম মোবাইলে ফোন করে ভিকটিম ফারুককে টাকা নেওয়ার জন্য কাউন্টারে আসতে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিম ফারুক টাকা নিতে কাউন্টারে আসলে গ্রেফতারকৃত নিজামের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে গ্রেফতারকৃত সোহাগ, জহিরুল, রনি ও বাদশা ভিকটিমকে মারধর করে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত নিজামের নির্দেশে গ্রেফতারকৃত সোহাগ, জহিরুল, রনি ও বাদশা ভিকটিম ফারুককে জোরপূর্বক ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি খালি বাসে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং বাসের মধ্যে পুনরায় ভিকটিম ফারুকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে গুরুতর জখম করে।

পরবর্তীতে ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে গ্রেফতারকৃত সোহাগ ও রনি ভিকটিম ফারুকের হাত-পা চেপে ধরে এবং গ্রেফতারকৃত বাদশা বাসে থাকা টুলবক্স থেকে স্ক্রু ড্রাইভার নিয়ে ভিকটিম ফারুকের বাম চোখ উপড়ে ফেলে। একপর্যায়ে ভিকটিম ফারুকের মৃত্যু নিশ্চিত হলে গ্রেফতারকৃতরা হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ভিকটিম ফারুকের মৃত দেহটি বাসে নিয়ে কুড়িল ফ্লাইওভার হয়ে পূর্বাচল ৩০০ ফিট রোড এলাকা দিয়ে ঘুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ে পাশে রঘুরামপুর এলাকার নির্জন রাস্তার পাশে ফেলে বাসটি নিয়ে লক্ষীপুরের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।